Sharing is caring!
রাজু সরকার (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
কমিউনিটি ভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি( সিআরইএ) প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস- ২০২৫ পালিত হয়।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে ফুলছড়ি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্তরে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস -২০২৫ এর প্রতিপাদ্য বিষয় “ জলবায়ু অভিযোজনে গ্রামীণ নারী ”
অনুষ্ঠানে চর এলাকায় কিশোর-কিশোরী, নারী-পুরুষ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বিভিন্ন সচেতনতা মূলক বার্তা সম্বলিত প্লে-কার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার হাতে র্যালীতে অংশগ্রহণ করে। র্যালী শেষে ফুলছড়ি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিআরইএ প্রকল্প সমন্বয়কারী লাভলী খাতুন এর পরিচালনায় এবং ফুলছড়ি ইউনিয়ন ক্লাইমেট একশন গ্রæপের সদস্য আমিতন বেগম’র সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, রওশন আলী উপজেলা জেহুার সমতা ও জলবায়ু জোট (জিকা) এর সদস্য এবং সহকারী শিক্ষক, ফুলছড়ি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আব্দুল ওয়াহেদ, সহকারী শিক্ষক ফুলছড়ি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্লাইমেট একশন গ্রুপের সদস্য আমিতন বেগম, নারী দলের সভাপ্রধান চন্দ্রভানু, হামিদা বেগম, শাহিনুর বেগম, সুশিল সমাজ প্রতিনিধি, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
একইভাবে ফজলুপুর ইউনিয়নে চন্দনস্বরেও দিবসটি উদযাপিত হয় । আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ফজলুপুর ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান মুক্তার হোসেন,সাংবাদিক রাজু সরকার এছাড়াও অনুষ্ঠানটিতে সার্বিকভাবে সহায়তা করেন, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, একজন গ্রামীণ নারী প্রতিদিন ১৬-১৮ ঘন্টা পারিবারিক ও কৃষি কাজে ব্যসÍ থাকলেও তাদের কাজের কোন মূল্যায়ন করা হয় না। পরিবার, সমাজ এবং সকলের জন্য বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নারীরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, সেগুলোকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নেয়া দরকার। আরও বলেন, জলবায়ু সহনশীল কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তায় গ্রামীণ নারীর ভুমিকা ও কৃষি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজে তাদের অনস্বীকার্য ভুমিকা থাকলেও নারীর এই মূল্যহীন ও অবমূল্যায়িত কাজ বা শ্রম ছাড়া কৃষির উৎপাদন অসম্ভব। তারা গ্রামীণ নারীদের এসকল কাজের গুরুত্ব উপলব্ধি ও স্বীকৃতির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের পথ সুগম করার আহবান জানান।
এ প্রোগ্রামের মধ্যে দিয়ে তারা যথাযত কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান
গৃহস্থালীর অমূল্যায়িত কাজের স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন, অমূল্যায়িত কাজে পরিবার পর্যায়ে পুরুষ ও বালকদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি’র জন্য কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ, জাতীয় কৃষি অর্থনীতিতে গ্রামীণ নারীর অবদান ও ভূমিকার যথাযথ মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি প্রদান, নারী কৃষকদের কাজের প্রচার ব্যাপকভাবে বাড়ানোর মাধ্যমে, তাদের কাজের গুরুত্ব বোঝানো, জাতীয় কৃষিনীতি ২০১৩ অনুযায়ী, উৎপাদন ও বিপণনে নারীর অংশগ্রহণ এবং আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করা, নারী কৃষকদের কাছ থেকে বিশেষ করে চর পর্যায়ে সরাসরি কৃষিপণ্য ক্রয় ও বিপননের জন্য যথাযত উদ্যোগ ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ, সম্পত্তিতে নারীর অধিকার বিষয়ক আইনকে যুগোপযোগী করা, কৃষিতে নারীর অবদান দৃশ্যমান করার জন্য গণমাধ্যম ও সরকারের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ, গ্রামীন নারীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকারী বরাদ্দ নিশ্চিত করা, শ্রম বাজারের নারী- কৃষকদের নিরাপদ ও অবাধ প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা ও মজুরি বৈষম্য রোধে কার্যকর ভুমিকা গ্রহণ।
একইভাবে ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালিত হয়।