আজ বৃহস্পতিবার, ৩০শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইল-৬ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী ডা. এ.কে.এম আব্দুল হামিদ

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ০৪:০৭ অপরাহ্ণ
টাঙ্গাইল-৬ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী ডা. এ.কে.এম আব্দুল হামিদ

Sharing is caring!

Manual3 Ad Code
এম.এ.মান্নান,নাগরপুর(টাঙ্গাইল)সংবাদদাতা:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর–দেলদুয়ার) আসন এখন সরগরম। রাজনৈতিক অঙ্গনের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ডা. এ.কে.এম আব্দুল হামিদ। মানবিকতা, সততা, সেবাধর্মী নেতৃত্ব ও অগণিত মানুষের প্রতি তাঁর নিবেদিতপ্রাণ মনোভাব তাঁকে আজ দুই উপজেলার মানুষের প্রিয় মুখে পরিণত করেছে।
ডা. এ.কে.এম আব্দুল হামিদ বর্তমানে জামায়াত সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম(এনডিএফ) টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি এবং ধলেশ্বরী হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসহায় ও দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। শুধু স্বাস্থ্যসেবা নয়, শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নেও রেখেছেন অনন্য দৃষ্টান্ত। তাঁর প্রতিষ্ঠিত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলো এখন এলাকার শিক্ষার আলোকবর্তিকা। নিয়মিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, দরিদ্রদের সহায়তা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করে তিনি জনগণের হৃদয়ে স্থায়ী আসন গড়ে তুলেছেন।
দেলদুয়ার উপজেলার ভোটার আব্দুল বাছেদ বলেন- যখন কারও বিপদ হয় বা অসুস্থ হয় শোনা মাত্রই ডা. হামিদ নিজেই গাড়ি নিয়ে চলে আসেন। তিনি শুধু নেতা নন, আমাদের সেবকও । তারমত মানুষ এমপি পাওয়া সত্যিই  সৌভাগ্যের হবে।
নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ৭৫ বছর বয়সীর এক ভোটার জানান, আমরা ডা. হামিদ ভাইকে ছোটবেলা থেকে চিনি। তিনি মানুষের জন্য যা করেন, তা নিঃস্বার্থভাবে করেন। এলাকার গরিবের ডাক্তার, মেহনতি মানুষের বন্ধু- এমন পরিচয়ে তিনি সবার মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
টাঙ্গাইল-৬ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পরিচালক মির্জা রাশিদুল হাসান জুয়েল বলেন- প্রতিদিনই ডা. হামিদ ভাইয়ের জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে। তিনি প্রতিটি ইউনিয়নে মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন। মানুষ তাঁর প্রতি আস্থা রাখছে, ভালোবাসা দিচ্ছে। ইনশাআল্লাহ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিজয় আমাদের হবেই।
সহকারী পরিচালক অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন- ডা. হামিদ শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি একজন শিক্ষিত, বিনয়ী ও জনদরদি মানুষ। তাঁর নীতিনিষ্ঠ জীবন ও পরিশ্রমী মনোভাব তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।
নাগরপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন- ডা. হামিদ ভাই সংগঠনের প্রাণ। তিনি শুধু রাজনীতির নেতা নন, একজন মানবিক সংগঠক। তাঁর সততা, নীতি ও ত্যাগে অনুপ্রাণিত হয়ে তরুণরা আজ সংগঠনের প্রতি নতুন আস্থা খুঁজে পাচ্ছে।
দেলদুয়ার উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আল মোমিন বলেন- মাঠে যে সাড়া আমরা পাচ্ছি, তা অভাবনীয়। মানুষ পরিবর্তন চায়, এমন একজন নেতাকে চায় যিনি সত্যিকার অর্থে জনগণের সেবক হবেন। ডা. হামিদ ভাই সেই আশার প্রতীক।
ছাত্রজীবন থেকেই ডা. হামিদ নেতৃত্ব ও সেবার আদর্শে বেড়ে ওঠেন। তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে টাঙ্গাইল শহর জামায়াতে ইসলামীর আমীর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে নানা নির্যাতন ও হয়রানির মুখে থেকেও তিনি জনগণের পাশে থেকেছেন, কখনো সেবার কাজ বন্ধ করেননি। তাঁর দৃঢ় মনোবল ও নীতিনিষ্ঠ জীবন তাঁকে সাধারণ মানুষের সবচেয়ে কাছের মানুষে পরিণত করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে ডা. হামিদ দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। তাঁর দুই পুত্রবধূ ডাক্তার, এক মেয়ে ও এক ছেলে ডাক্তার এবং এক ছেলে ব্যারিস্টার।এই শিক্ষিত, নৈতিকতা ও পেশাগত সাফল্যে সমৃদ্ধ পরিবার স্থানীয় জনগণের আস্থাকে আরও দৃঢ় করেছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের কোকাদাইর গ্রামে।
এমপি প্রার্থীর কনিষ্ঠ পুত্র ও নাগরপুর উপজেলা যুব জামায়াতের ক্রীড়া সম্পাদক ব্যারিস্টার হাসনাত জামিল বলেন, আমার বাবা আমাদের শিখিয়েছেন রাজনীতি মানে মানুষের সেবা করা। তিনি কখনো ব্যক্তিস্বার্থে রাজনীতি করেননি। মানুষের ভালোবাসাই তাঁর সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
নাগরপুর প্রেসক্লাব সদস্য ডা.এম.এ.মান্নান এর  এক সাক্ষাৎকারে এমপি প্রার্থী ডা. এ.কে.এম. আব্দুল হামিদ বলেন, আমি রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য, ক্ষমতার জন্য নয়। জনগণের ভালোবাসাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। তিনি আরও বলেন, আমি যদি জনগণের ভোটে এমপি হতে পারি, তবে নাগরপুর ও দেলদুয়ারের সকল মানুষের কল্যাণে কাজ করব, ইনশাআল্লাহ। শেষে তিনি সবার কাছে দোয়া ও সমর্থন প্রার্থনা করেন।
নাগরপুর ও দেলদুয়ারের গ্রামাঞ্চলে এখন উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণ অধিকার পরিষদ, এনসিপি ও খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে চলছে উঠান বৈঠক, জনসভা, মোটর শোডাউন, লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ। তরুণ ভোটারদের আগ্রহ ও সক্রিয় অংশগ্রহণে পুরো নির্বাচনী মাঠে বইছে নতুন প্রাণের হাওয়া।
টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর–দেলদুয়ার) আসনের ভোটারদের মুখে এখন একটাই নাম পরিবর্তনের প্রতীক, মানবিক নেতা ডা. একে.এম. আব্দুল হামিদ।মানুষের সেবায় নিবেদিতপ্রাণ এই চিকিৎসক-নেতা আজ এক নতুন সম্ভাবনার প্রতীক। তাঁর সৎ, নীতিনিষ্ঠ ও ত্যাগী জীবনধারা রাজনীতিতে এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
জনগণের ভালোবাসা ও আস্থার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছেন তিনি। সমাজের দরিদ্র ও নিপীড়িত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই তাঁর জীবনের মূল লক্ষ্য- আর এই অঙ্গীকারই তাঁকে টাঙ্গাইল-৬ আসনের সবচেয়ে জনপ্রিয়, মানবিক ও প্রভাবশালী প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code