আজ মঙ্গলবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যথাযোগ্য মর্যাদায় শাবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৫:৪০ অপরাহ্ণ
যথাযোগ্য মর্যাদায় শাবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

Sharing is caring!

Manual4 Ad Code
উৎফল বড়ুয়া, সিলেট
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন- ১ এর সামনে শনিবার ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় কালো ব্যাজ ধারণ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন যথাক্রমে প্রো-ভাইস চ্যান্সলর অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন ।
সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে শহিদ মিনার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রো ভাইস চ্যান্সলর অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম। এসময় পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, শিক্ষক সমিতি, হল প্রশাসন, কর্মচারীদের সংগঠন, শাবি প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়ামে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ফয়সাল আহম্মদের সভাপতিত্বে এবং উপ-রেজিস্ট্রার আ. ফ. ম মিফতাউল হকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম।
প্রধান অতিথির বক্তেব্যে প্রো ভাইস চ্যান্সলর বলেন, এ ভূখন্ডের মানুষ আন্দোলনে পিছপা হয় না। স্বাধীনতার পূর্বে এই অঞ্চলের মানুষ বড় বড় চাকরি পেত না। আন্দোলনে অনেক গুণী শিক্ষক ছিলেন। পাকিস্তানীরা যখন বুঝতে পারল ব্যর্থতা নিশ্চিত তখন শুধু তারাই নয় আরও অনেকেই টার্গেট করলেন বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে হবে।
জুলাই বিপ্লব নিয়ে তিনি বলেন, আমরা আরও হত্যাকান্ড দেখতাম যদি না আমাদের শিক্ষার্থীরা ৬ তারিখের আন্দোলন ৫ তারিখে নিয়ে আসত। আমাদের স্টেইজের অনেক শিক্ষক এই হত্যাকান্ডের টার্গেটে ছিলাম কারণ আমরা ছিলাম  নিপীরণ বিরোধী শিক্ষক । এছাড়া তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন বিপ্লব নাই যাদের বিপ্লবের পিছনে কোন পরাশক্তি ইন্ধন ছিল না। আমাদের শিক্ষার্থীদের বিপ্লব অন্যন্য কারণ তাদের পেছনে পৃথিবীর কোন পরাশক্তি ছিল না। জুলাই বিপ্লবের মহানায়ক আমাদের শিক্ষার্থীরা ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন, প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ সিদ্দিকী । আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. সাহাবুল হক এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট্রাল মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ।
Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code