আজ শনিবার, ২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাবিতে শরীয়তপুর জেলা সমিতির নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত 

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৫:৪৪ অপরাহ্ণ
রাবিতে শরীয়তপুর জেলা সমিতির নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত 

Sharing is caring!

মো.লিমন আহমেদ,রাবি প্রতিনিধি,
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও প্রবীণদের বিদায় দিয়েছে শরীয়তপুর জেলা সমিতি। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ০২:০০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন’স কমপ্লেক্সের কনফারেন্স রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সমিতির সভাপতি আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা সমিতি, রাজশাহীর প্রধান উপদেষ্টা রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এস. এম. আকতার হোসেন, সিনিয়র ওয়েলফেয়ার অফিসার, (পশ্চিম) বাংলাদেশ রেলওয়ে, মোঃ মুজিবুর রহমান, পরিবহণ অধিদপ্তর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও শফিকুল ইসলাম, পরিবহণ অধিদপ্তর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা সমিতি, রাজশাহীর কমিটির সকল সদস্য সহ নবীন শিক্ষার্থীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি আরিফুল ইসলাম নবীনদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা নতুন তারা সাদা কাগজের মতো। তারা সেই সাদা কাগজে কি লাগাবে সেটা তাদের বিষয়। তবে মনে রাখতে হবে, তোমরা প্রথমে ছাত্র। তারপর তোমরা এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিস করবে। একাডেমিক পড়াশোনার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। নিজেদেরকে তৈরি করার বিকল্প কিছু নেই। আর বর্তমানে যেকোন চাকরির ক্ষেত্রে সোশ্যাল হতে হচ্ছে। নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ভালো রাখতে হবে। তাহলে অনেক কাজ সহজ হয়ে যাবে।
সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান নবীনদের উদ্দেশ্যে বলেন, একত্রিত হওয়া আর এক হওয়া দু’টি স্বতন্ত্র বিষয়। ইচ্ছা করলে সবাই একত্রিত হতে পারে কিন্তু এক হওয়া মানে হচ্ছে হৃদয়ে একাত্মতা ধারণ করা। আজ তোমরা এখানে সবাই একত্রিত নয় এক হয়েছে। এই এক হওয়াকে তোমরা ধারাবাহিকতাভাবে বজায় রাখবে। তোমাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ তোমরা মানবিক মানুষ হও। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জেলার সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে সর্বদা তোমরা সতর্ক থাকবে।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীতে নিজের জেলার কাউকে পেলেই খুব ভাল্লাগে, মনে হয় যে নতুন কোন জায়গায় একজন আপন মানুষ পেলাম। এটা হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের বিষয়, শেকড়ের বিষয়। আমরা যে ডিপার্টমেন্টে পড়ি না কেন, যেখানেই যাই, আমাদের মন নদীর মত বিশাল। আমরা যারা রাজশাহীতে আছি, তারাই শরীয়তপুরের একেকজন প্রতিনিধিত্বকারী। আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বাইরের মানুষের কাছে তুলে ধরাই আমাদের দায়িত্ব।
পরে নবীন ও প্রবীণদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সাধারণ সভার মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে শরীয়তপুর থেকে রাবিতে  পড়তে আসা এক ঝাঁক মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ জেলা সমিতিটি প্রতিষ্ঠিত হয়।