আজ সোমবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজনগরে কুটকৌশলে জোর পুর্বক ঘর বাড়ি দখল করে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

editor
প্রকাশিত মার্চ ১৪, ২০২৫, ০২:০৯ অপরাহ্ণ
রাজনগরে কুটকৌশলে জোর পুর্বক ঘর বাড়ি দখল করে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

Sharing is caring!


Manual7 Ad Code

জাফর ইকবাল মৌলভীবাজার থেকে,

Manual7 Ad Code

মৌলভীবাজারের রাজনগরে জোর পুর্বক কুট কৌশলে ঘর বাড়ি দখল করে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভোক্তভুগী কলছুমা বেগম, মো: মসুদ, জাহাঙ্গির মিয়া ও মাসুদ আহমদ।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) কাওরান হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট, জুলিয়া শপিং কমপ্লেক্সে বিকল ৪ টায় সংবাদ সম্মেলন ভোক্তভুগীরা বলেন, আমরা বিগত ২৩ সালে কটুরাম পাল এর পন্তি অম্বিকা পালের ছেলে অজয় পাল ও অশোক পালের নিকট থেকে ১০২/২৩ নং দলিল মুলে এসএ খতিয়ান নং ৭০, দাগ নং ২৬০, আর এস খতিয়ান নং ১০৬, দাগ নং ২৫৪, মুলে ৪১ শতক জমি রাজনগর সাব রেজিসষ্ট্রার অফিসে রেজিস্ট্রারী করি। এরপর ক্রয়কৃত জমি নামজারী করে বসত বাড়ি নির্মান করি। বিগত ৯ মাস পুর্ব থেকে সুন্দর মিয়া, লেচু মিয়া, ফারুক মিয়া পিতা মৃত আহছান উল্ল্যা, সাং- ইলাশপুর, সাদিক মিয়া, সাং মল্লিক সরাই এই জমি তাদের বলে দাবী করে। আমরা বসত ঘর তৈরীর করার পর থানায় অভিযোগ দেয় তাদের জমিতে আমরা ঘর বাড়ি নির্মান করছি। রাজনগর থানা পুলিশ উভয় পক্ষে কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে আমাদের কাগজ পত্র সঠিক দেখতে পায়। এরপর সুন্দর মিয়া ও টুনু মিয়া ১৪৪ ধারায় মামলা দেয়। এই মামলা আমাদের পক্ষে রায় হয়।

Manual8 Ad Code

এসময় আমাদেরে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ৭ ধারা মামলা দেয়। এটিও খারিজ হয়ে যায়। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর কিছু পুরুষ ও মহিলা নিয়ে আমাদের তালা বদ্ধ ঘরে প্রবেশ করে। পরে আমরা সেনাবাহিনীর নিকট অভিযোগ করলে সেনাবাহিনী তাদেরে ঘর থেকে বের করে আমাদের দখল বুঝিয়ে দেন। বিগত ৯৪ সালে মাঠ জরিপে জোয়াদ উল্লার ওয়ারিশান উপরোলেখিত ব্যক্তিরা কৌশলে তাদের নামে ৪০৯/৬৪ নং দলিল মুলে মাঠ পর্সায় রেকর্ড করে। পরবর্তীতে কটু পালের পন্তি বিন্দু পাল সেটেলম্যানট অফিসে ৩০ ধারায় অভিযোগ করেন। সেটেলম্যানট অফিসে ৩০ ধারায় শুনানী শেষে এই দলিল সঠিক নয় বলে পুনরায় কটু পালের নামে রেকর্ড বহাল হয়। আর এই এস,এ খতিয়ান নং ৭০, দাগ নং ২৬০, আর, এস খতিয়ান নং ১০৬, দাগ নং ২৫৪ এর ৪১ শতক বর্তমানে তাদের বলে দাবী করছেন।

Manual1 Ad Code

কুলছুমা বেগমের স্বামী আনকার মিয়া বলেন, আমি জমির বন্ধক রেখে কৃষি ব্যাংক কুলছুমা বেগমের নামে ৩ লাখ টাকা সিসি ঋন নিয়েছি। জমির মালিকানা ঠিক না থাকলে ব্যাংক কি ভাবে ঋন দেয়। ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে পুলিশ নিয়ে গিয়ে আমাদের ঘর ভেংঙ্গে আমাদের মালপত্র লুটপাট করে নতুন ঘর তৈরী করছেন। ডিপ টিউবেল, মটর, ফ্রিজ, টিভি, পালং, পাকা ঘর সহ আনুমানিক প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এব্যাপারে আমরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code