আজ সোমবার, ৩রা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন পদক্ষেপে আলোর মুখ দেখছে শেবাচিম হাসপাতাল

editor
প্রকাশিত মার্চ ১৪, ২০২৫, ০২:১৪ অপরাহ্ণ
নতুন পদক্ষেপে আলোর মুখ দেখছে শেবাচিম হাসপাতাল

Sharing is caring!

Manual2 Ad Code

মামুনুর রশীদ,

Manual3 Ad Code

দেশের দক্ষিণাঞ্চলবাসীর চিকিৎসার সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। গড়ে প্রতিদিন ৭’শ রোগি ভর্তি হয় এখানে। ইনডোরে থাকে প্রায় তিন হাজার রোগী। আউটডোরে কয়েক হাজার রোগী চিকিৎসাপত্র গ্রহণ ও পরীক্ষা নীরিক্ষা করিয়ে থাকে। দীর্ঘদিনের বিশৃঙ্খলার অভিযোগ কাটিয়ে কিছুটা শৃঙ্খলার দিকে ফিরছে এই প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি সেনাবাহিনী থেকে পরিচালক পদায়নের পর থেকে ধীরে ধীরে নানা পদক্ষেপ সাফল্যের মুখ দেখছে। এসব পদক্ষেপে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ও ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)।

হাসপাতাল অভ্যন্তরে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, সামেনের গেট ও খোলা জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করা, চিকিৎসক রাউন্ড বাড়ানো, নার্সিং সেবার মান বৃদ্ধি ও ল্যাবরেটরী সচল করা সহ বেশ কিছু পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছে।

Manual6 Ad Code

তাছাড়া বর্তমান পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নতুন করে আল্ট্রাস্নোগ্রাম মেশিন, এক্সরে মেশিন, মাইক্রোস্কোপ সহ বেশ কিছু ইকুপমেন্ট আনা হয়েছে। শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে নিউরো ও স্পাইনাল সার্জারী অপারেশন। চোখের ফ্যাকো সার্জারী মেশিন সচল করে ইতিমধ্যেই ফ্যাকো সার্জারী অপারেশন শুরু হয়েছে। তাছাড়া ইনফেকশন রোধ ও নিরাপত্তা বাড়াতে ভিজিটর কন্ট্রোলে ডিজিটাল ভিজিটর কার্ড পদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এসব পদক্ষেপকে ইতিবাচক উল্লেখ করে বিশিষ্টজনরা বলছেন, একটু ধীরে হলেও বরিশালবাসীর প্রত্যাশা পূরণের দিকেই এগুচ্ছেন নতুন পরিচালক। আরো যেসব পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিও জানান তারা।

Manual1 Ad Code

হাসপাতালের সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতালের মেডিসিন ভবন অন্ধকার ও টয়লেট সমস্যা সমাধানের ব্যাপক কাজ করেছেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর। সম্প্রতি মেডিসিন ভবনে চিকিৎসক, সেবিকা ও রোগীদের জন্য একাধিক পৃথক টয়লেট ব্যবস্থা ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে নতুন জানালার ব্যবস্থা করে অন্ধকার দুর করতে সক্ষম হয়েছেন।

হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, আমি প্রথমে সবকিছু বুঝতে কিছুটা সময় নিয়েছি। আমি চাচ্ছি টেকশই ও স্থায়ীভাবে উন্নয়ন করার জন্য। ইতিমধ্যে যেসব কাজ হয়েছে তার বাইরেও অনেকগুলো চলমান আছে। তাছাড়া আরো বেশকিছু পরিকল্পনা রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন করে একটি আদর্শ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

Manual7 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code