আজ শনিবার, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রতিদিন সচিবালয়ে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত

editor
প্রকাশিত মে ২৮, ২০২৫, ১২:০১ অপরাহ্ণ
প্রতিদিন সচিবালয়ে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত

Oplus_16908288

Sharing is caring!

Manual6 Ad Code
প্রধান প্রতিবেদকঃ
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বুধবার (২৮ মে) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর।
তিনি জানান, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কর্মচারীদের এক ঘণ্টার কর্মবিরতি চলবে। আর সারা দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও একই সময়ে কর্মবিরতি চলমান থাকবে।
এর আগে সকালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেন, আন্দোলনরত সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের দাবিসমূহ মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ কর্মচারীদের ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রত্যাহারের দাবি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তুলে ধরবেন।
বর্তমানে তিনি বিদেশে আছেন। তিনি দেশে ফেরার পরেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে কর্মচারীদের কথা ও গতকালের আলোচনার বিষয়টি জানানো হয়েছে। এখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। তাই প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরবেন।
প্রধান উপদেষ্টা বর্তমানে জাপান সফরে আছেন। ৩১ মে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।সালেহ আহমেদ আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বিষয়টি তার কাছে তুলবেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মে) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কয়েকজন সচিব।
বৈঠক শেষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ জানান, তাদের দাবি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে থেকে ঘোষণা আসবে।
জারি করা গেজেট-
সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। অধ্যাদেশে চার অপরাধের জন্য চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে। তারা এ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের (আইনানুযায়ী সবাই কর্মচারী) চারটি বিষয়কে অপরাধের আওতাভুক্ত করা হয়।
সেগুলো হলো— কোনো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, যা অনানুগত্যের শামিল বা যা অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে, অন্যান্য কর্মচারীর সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন, এছাড়া কোনো কর্মচারীকে তার কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন এবং যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।
অধ্যাদেশে বলা হয়, অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। আর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তাকে কেন দণ্ড আরোপ করা হবে না, সে বিষয়ে আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বৈঠকে সংশোধিত সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। যা গত রোববার সন্ধ্যায় গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code