আজ সোমবার, ১৮ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রিকশা চালক কীসের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার— ওসির কাছে ব্যাখ্যা চাইলো সরকার

editor
প্রকাশিত আগস্ট ১৭, ২০২৫, ১২:০৮ অপরাহ্ণ
রিকশা চালক কীসের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার— ওসির কাছে ব্যাখ্যা চাইলো সরকার

Oplus_16908288

Sharing is caring!

স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমানকে কীসের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানতে চেয়ে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
রোববার (১৭ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। বিবৃতির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দায়ের করা মামলায় আজিজুর রহমানের সম্পৃক্ততা তদন্ত করার ক্ষেত্রে সম্প্রতি সংশোধিত সিআরপিসির ১৭৩ (এ) ধারা মোতাবেক অতিসত্বর প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে রিকশাচালক আজিজুর রহমানের জামিন দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে শুনানি শেষে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত তাকে জামিন দেন।
এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে শুক্রবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম শাহাদাতবার্ষিকীতে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে তার বাড়ির সামনে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মারধর ও হেনস্তার শিকার হন রিকশাচালক আজিজুর রহমান।
 পরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জেনিফার জেরিনের আদালতে তোলা হলে জুলাই আন্দোলনের হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান কারাগারে রাখার আবেদন করেন। পরে  বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) আটক রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমানকে হত্যা মামলার আসামি করা হয়নি বলে জানিয়েছে। আজ রোববার ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস কর্মকর্তা মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডিএমপির মিডিয়া সেলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকা থেকে মো. আজিজুর রহমান (২৭) নামের এক রিকশাচালককে ১৫ আগস্ট আটক করা হয়। পরদিন সন্দেহজনক একটি মামলার আসামি হিসেবে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে মো. আজিজুর রহমানের গ্রেপ্তার ও মামলা নিয়ে অহেতুক ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
আটক মো. আজিজুর রহমানকে যে মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়েছে, তা পেনাল কোডের একটি নিয়মিত মামলা। কিন্তু অনেকেই বিষয়টিকে হত্যা মামলা হিসেবে প্রচার করছেন, যা পুরোপুরি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক।