আজ বৃহস্পতিবার, ২৮শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

editor
প্রকাশিত আগস্ট ২৭, ২০২৫, ১২:৪৬ অপরাহ্ণ
বুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

Oplus_16908288

Sharing is caring!

স্টাফ রিপোর্টারঃ
তিন দফা দাবিতে প্রকৌশলের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং জল কামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এর আগে পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জমায়েত হন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে টিএসসি হয়ে চারুকলার সামনে দিয়ে শাহবাগে পৌঁছান এবং মূল সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন।
এতে শাহবাগ ও আশপাশের সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা ঘনঘন স্লোগান দিতে থাকেন— “ব্লকেড ব্লকেড শাহবাগ ব্লকেড”, “জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো”, “দিয়েছি তো রক্ত, আরো দিবো রক্ত।”
শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা যমুনার দিকে যাব।
৩টা পর্যন্ত সময় দিচ্ছি—৩ জন উপদেষ্টা এখানে এসে আমাদের আশ্বাস দিতে হবে, তা না হলে আমরা যমুনার ব্যারিকেড ভাঙবো।”
বেলা দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন এবং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের সড়ক অতিক্রমের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
 উভয় পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছোড়ে। বাতাসে টিয়ারশেলের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে যায়।
পরে পুলিশ লাঠিচার্জ ও জল কামান ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের যমুনার সামনে থেকে সরিয়ে দেয়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, প্রধান উপদেষ্টার সর্বোচ্চ নিরাপত্তার স্বার্থে আন্দোলনকারীদের দূরে রাখা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছেন বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক ইফতেখারুল ইসলাম ইমন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে পাঁচ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছিলেন। পরে তারা ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ ত্যাগ করেন।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো:
১. ৯ম গ্রেডে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য বিদ্যমান ৩৩ শতাংশ কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত করা।
২. ১০ম গ্রেডে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য থাকা ১০০ শতাংশ কোটা বাতিল করে সবার জন্য উন্মুক্ত করা।
৩. বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহার না করা এবং করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।