আজ মঙ্গলবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোয়ান্টাম বিপ্লবের পথে: পদার্থবিদ্যায় নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানী 

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ৯, ২০২৫, ০৬:৫১ অপরাহ্ণ
কোয়ান্টাম বিপ্লবের পথে: পদার্থবিদ্যায় নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানী 

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
লায়ন উজ্জল কান্তি বড়ুয়া,
২০২৫ সালের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জয় করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশিষ্ট গবেষক- জন ক্লার্ক, মিশেল ডেভোরে ও জন মার্টিনিস। তাঁদের যৌথ গবেষণা কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার জগৎ তথা বিজ্ঞানকে নিয়ে গেছে এক নতুন উচ্চতায়। রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস জানিয়েছে, “তাঁদের কাজ কোয়ান্টাম জগতের জটিলতাকে নতুনভাবে ব্যাখ্যা করেছে এবং ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির ভিত্তি গড়ে দিয়েছে।” এই সাফল্যের ফলে কোয়ান্টাম কম্পিউটার, কোয়ান্টাম সেন্সর ও কোয়ান্টাম যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা হলো অতি সূক্ষ্ম কণার জগৎ- যেখানে ইলেকট্রন ও ফোটনের মতো কণাগুলোর আচরণ অনিশ্চিত ও রহস্যময়। এই জগৎকে ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে যে প্রচেষ্টা, সেটিই আজ মানবজীবনের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির অন্যতম ভিত্তি। ক্লার্ক, ডেভোরে ও মার্টিনিসের গবেষণা দেখিয়েছে, কণার এই আচরণকেই কাজে লাগিয়ে তথ্যপ্রযুক্তিকে আরও দ্রুত, শক্তিশালী ও নির্ভুল করা সম্ভব।
তাঁদের গবেষণা ভবিষ্যতের কোয়ান্টাম কম্পিউটার বিকাশে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। প্রচলিত কম্পিউটারের তুলনায় এই প্রযুক্তি তথ্য প্রক্রিয়ায় হাজারগুণ দ্রুত ও সঠিক ফলাফল দিতে পারবে। চিকিৎসা, নিরাপত্তা, পরিবেশ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রেও এর প্রয়োগ বিপ্লব ঘটাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞান কেবল পরীক্ষাগারের বিষয় নয়; এটি মানবতার কল্যাণে এক আলোকিত অভিযাত্রা। নোবেলজয়ী এই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণা প্রমাণ করেছে মানব কৌতূহল ও সৃজনশীলতাই সভ্যতার প্রকৃত শক্তি।
এই তিন বিজ্ঞানীর আবিষ্কার শুধু পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে নয়, মানব সভ্যতার অগ্রযাত্রার ইতিহাসেও এক নতুন অধ্যায় রচনা করবে। নোবেলজয়ী তিন মার্কিন গবেষকের অবদান প্রমাণ করেছে জ্ঞানই আগামী বিশ্বের সত্যিকারের শক্তি। যেখানে জ্ঞান, প্রযুক্তি ও মানবতার বন্ধন হবে আরও দৃঢ়, আরও আলোকিত।
লেখক : কলাম লেখক ও সংগঠক।
Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code