Sharing is caring!
এম.এ.মান্নান,নাগরপুর (টাঙ্গাইল)সংবাদদাতা:
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় খোসপাঁচড়া জাতীয় ছোঁয়াচে চর্মরোগ স্ক্যাবিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগী স্ক্যাবিসের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ রোগে শিশুরা বেশী আক্রান্ত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ক্যাবিস একটি পরজীবী (Sarcoptes scabiei) বাহিত চর্মরোগ, যা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ বা ব্যবহৃত পোশাক, বিছানাপত্রের মাধ্যমে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। শরীরের আঙুলের ফাঁক, কবজি, বগল, নাভি, কোমরের নিচে ও যৌনাঙ্গের আশপাশে তীব্র চুলকানি এই রোগের সাধারণ লক্ষণ। বিশেষ করে রাতে চুলকানি বেড়ে যায়। ফুসকুড়ি বা ফোসকার মতো দানা উঠতে পারে, যা থেকে তরলও নিঃসৃত হয়।
নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা ৪০ বছর বয়সী এক রোগী জানান, তিন সপ্তাহ ধরে সারা শরীরে প্রচণ্ড চুলকানি হচ্ছিল। ফার্মেসি থেকে মলম কিনে ব্যবহার করেও ভালো হয়নি। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে জানতে পারি, এটি স্ক্যাবিস।
কাশাদহ গ্রামের গৃহবধূ আনোয়ারা বেগম বলেন,আমার ৪ বছরের ছেলের শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয় এবং চুলকাচ্ছিল। পরে দেখি, আমরাও আক্রান্ত হই। ডাক্তার বলেছেন, পুরো পরিবারকে একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে হবে।”