এম.এ.মান্নান,,নাগরপুর(টাঙ্গাইল)সংবাদদাতা:
টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের সিংজোড়া পূর্বপাড়া গ্রামে মো. আমিনুল ইসলাম (৩০) নামের এক কৃষকের বসতঘর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণরূপে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘরে রক্ষিত ধান, চাল, কাপড়চোপড় ও অন্যান্য আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এতে পরিবারের সর্বস্ব হারালেও মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
ক্ষতিগ্রস্ত গৃহকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম একজন কৃষক। তাঁর দুইজন শিশু সন্তান রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে তাঁর পরিবার বর্তমানে চরম মানবেতর অবস্থায় রয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে ছুটে যান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী, টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের প্রার্থী এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. একেএম আব্দুল হামিদ। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নেন, সান্ত্বনা জানান এবং তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
ডা. হামিদ বলেন, মানবিক বিপদে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো একজন ঈমানদার মানুষের দায়িত্ব। আমরা জামায়াতে ইসলামী সবসময় মানুষের পাশে ছিলাম, আছি এবং ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকবো।”
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের দুর্ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, জীবন কতটা অনিশ্চিত। তাই আমাদের উচিত একে অপরের পাশে দাঁড়ানো এবং সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা।
পরিদর্শনকালে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুস সালাম, সাবেক উপজেলা আমীর অধ্যক্ষ গোলাম রব্বানী, উপজেলা যুব জামায়াতের সভাপতি ডা. এম. এ. মান্নান, গয়হাটা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি অধ্যাপক আজিজুর রহমান, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ হারুনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মো.আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। এমন সময় জামায়াত নেতা ডা. একেএম আব্দুল হামিদ আমাদের দেখতে এসেছেন, সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন এবং আর্থিক সহযোগিতা করেছেন,আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।”
স্থানীয়রা জানান, আগুন লাগার পর এলাকাবাসী দ্রুত এগিয়ে এসে পানির সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ঘরের কিছুই রক্ষা করা যায়নি।
এদিকে এলাকাবাসী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির দ্রুত পুনর্বাসনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সমাজের সামর্থ্যবান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।