আজ শুক্রবার, ১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত সফরে যাচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ১৪, ২০২৫, ১২:৫৯ অপরাহ্ণ
ভারত সফরে যাচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

Sharing is caring!

Manual5 Ad Code

অনলাইন ডেস্ক:

অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সম্মেলনে যোগ দিতে ১৯ নভেম্বর দিল্লি যাচ্ছেন। ভারত মহাসাগরের পাঁচটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের সম্মেলন ২০ নভেম্বর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে।

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আমন্ত্রণে দুই দিনের সফরে দিল্লি যাচ্ছেন খলিলুর রহমান। অক্টোবরের দ্বিতীয়ার্ধে অজিত দোভাল ওই সম্মেলনে অংশ নিতে খলিলুর রহমানকে আমন্ত্রণ জানান। এবার ভারত কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (সিএসসি) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সপ্তম সম্মেলনের স্বাগতিক দেশ।

Manual5 Ad Code

 

সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে গত মঙ্গলবার প্রথম আলোর কাছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের দিল্লি সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের একটি সূত্র এই প্রতিবেদককে জানায়, খলিলুর রহমানের দিল্লি সফরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। তবে তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি।

দিল্লিতে সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে কোনো বৈঠক হবে কি না, সে বিষয়ে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ভারতীয় একটি সূত্র আভাস দিয়েছে, খলিলুর রহমানের দিল্লি সফরে দুজনের মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল এবং অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির পটভূমিতে দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে সরাসরি আলোচনার বিষয়ে দুই পক্ষের আগ্রহ রয়েছে। ফলে ২০ নভেম্বরের সম্মেলনের ফাঁকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য তাঁদের মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।

Manual6 Ad Code

প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্টে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে আসার পর এটা হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় কোনো উপদেষ্টার দিল্লি সফর। এর আগে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইন্ডিয়া এনার্জি উইকে অংশ নিতে জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ভারত সফরে যান।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রায় এক মাস পর নিউইয়র্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে তাঁরা আলোচনায় বসেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের প্রস্তাব অনুযায়ী গত বছরের ডিসেম্বরে ঢাকায় দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর চলতি বছরের এপ্রিলে ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এসব আলোচনার বাইরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন এবং যৌথ নদী কমিশনের কারিগরি কমিটির বৈঠক হয়েছে। এ বছরের মে মাসে কনস্যুলার সংলাপ আর জুনে বাণিজ্যসচিব পর্যায়ে বৈঠকের প্রস্তাব বাংলাদেশ দিয়েছিল। বাংলাদেশের এসব প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি ভারত।

প্রসঙ্গত, কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ হচ্ছে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি বহুপক্ষীয় আঞ্চলিক নিরাপত্তা ফোরাম। এই ফোরামের সদস্যদেশগুলো হলো ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মরিশাস ও বাংলাদেশ। আর সেশেলস পর্যবেক্ষক হিসেবে যুক্ত আছে। বাংলাদেশ এই ফোরামে ২০২৪ সালে পূর্ণ সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়। ২০২৪ সালের আগস্টে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত বৈঠকের মধ্য দিয়ে সদস্যদেশগুলো শ্রীলঙ্কার রাজধানীতে সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সনদ ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে। মূলত আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার এই ফোরামের মূল লক্ষ্য, যেখানে পাঁচটি ক্ষেত্রে বিশেষ মনোযোগ রয়েছে। এই ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা; সন্ত্রাস ও চরমপন্থা প্রতিরোধ; মানব পাচার ও আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন; সাইবার নিরাপত্তা এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও প্রযুক্তির সুরক্ষা; মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগে ত্রাণসহায়তা।

সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক হুমকি মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত এই কনক্লেভ সদস্যদেশগুলোর মধ্যে গোয়েন্দা তথ্যের বিনিময়, যৌথভাবে নীতি সমন্বয় ও সক্ষমতা উন্নয়ন সহজতর করে। ফোরামের সচিবালয় শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে প্রতিষ্ঠিত হলেও চক্রাকারে সদস্যদেশগুলোতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ নানা পর্যায়ের বৈঠকগুলোর আয়োজন করা হয়।

Manual6 Ad Code

 

 

 

Manual8 Ad Code

তথ্য সুএঃ প্রথমআলো

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code