ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী ও ঢাবির টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম ডিপার্টমেন্টের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালকে রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে হলের রুম থেকে বের করে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নাম্বার রুমে রবিউল হককে ছুরিকাঘাত করেন জালাল আহমদ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে চলমান বাকবিতণ্ডার জেরে রবিউলের রুমমেট জালাল আহমেদ তাকে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করেছেন। আহত রবিউল এখন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তিনি ২০১৮-১৯ সেশনের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রবিউল হক বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে জালাল রুমে এসে লাইট অন করে এবং শব্দ করতে থাকে। ফলে আমার ঘুম ভেঙে যায়। তখন আমি বলি, সকালে আমাকে লাইব্রেরিতে যেতে হবে অযথা শব্দ করলে ঘুমে সমস্যা হচ্ছে।
এতে সে রেগে গিয়ে আমাকে অবৈধ, বহিরাগত বলে। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে আঘাত করে জখম করে। পরে কোনোক্রমে আমি নিজেকে আত্মরক্ষা করি।
অন্যদিকে, জালাল আহমেদ তার ফেসবুকে নিজের আহত হওয়া ক্ষতচিহ্নের ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল থেকে অবৈধ ও বহিরাগত শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়ার দাবিতে উকিল নোটিশ পাঠানোর প্রাক্কালে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর কক্ষে আজ রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমাকে মেরেছে আমার রুমমেট রবিউল ইসলাম।
সে গত কয়েক মাস ধরে অবৈধভাবে হলে অবস্থান করছে।
এ ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা জালাল আহমেদের রুমের সামনে ভিড় করে তাকে বের হয়ে আসতে বললে তিনি রুমের ভেতরে নিজেকে আবদ্ধ রাখেন। পরে প্রক্টর এবং হল প্রভোস্টের সহায়তায় তাকে শাহবাগ থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা জালাল আহমেদের রুমের সামনে ভিড় করে তাকে বের হয়ে আসতে বললে তিনি রুমের ভেতরে নিজেকে আবদ্ধ রাখেন। পরে প্রক্টর এবং হল প্রভোস্টের সহায়তায় তাকে শাহবাগ থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ সময় হল প্রাধ্যক্ষ ড. মো. সিরাজুল ইসলাম জালাল আহমদকে তাৎক্ষণিভাবে হল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, রাতেই পুলিশকে জানিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। বর্তমানে জালাল শাহবাগ থানায় রয়েছে।