আজ শুক্রবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরেও উড়ে গেলো পাকিস্তান

editor
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫, ০৮:৫৯ অপরাহ্ণ
ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরেও উড়ে গেলো পাকিস্তান

Sharing is caring!

Manual5 Ad Code

অনলাইন ডেস্ক:

এশিয়া কাপে দ্বিতীয় মোকাবিলাতেও ভারতের আধিপত্যের সামনে টিকতে পারেনি পাকিস্তান। সুপার ফোরে সালমান আগাদের ৬ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় পর্ব শুরু করেছে ভারত। ১৭২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সূর্যকুমার যাদবের দল ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য টপকেছে ৭ বল হাতে রেখে।

অবশ্য গ্রুপ পর্বে যতটা অনায়াসে জয় এসেছিল এবার সেটা হতে দেয়নি পাকিস্তান। লড়াই করে ভারতকে চাপে রাখার চেষ্টা করেছিল।

 

Manual3 Ad Code

১৭২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ম্যাচ ছিনিয়ে নেয় ভারত। দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও শুবমান গিল মিলে ৯.৫ ওভারে যোগ করেন ১০৫ রান। গিল ২৮ বলে ৮ চারে ৪৭ রানে ফিরলে ভাঙে শুরুর জুটি। দ্রুত সময়ে শূন্য রানে সূর্যকুমার যাদবকেও বিদায় দিয়ে চাপ তৈরির চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু অপরপ্রান্তে অভিষেকের ম্যাচসেরা ঝড়ো ব্যাটিং এটা নিশ্চিত করে, মিডল অর্ডারে যাতে তেমন চাপ নিতে না হয়। ৩৯ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৪ রানে জয়ের মঞ্চ গড়তে ভূমিকা রাখা অভিষেক ফেরেন দলের ১২৩ রানে। তখন ৪৬ বলে দলের প্রয়োজন ৪৯ রান। তার পর দলের ১৪৮ রানে সাঞ্জু স্যামসন (১৩) কাটা পড়লে ১৮.৫ ওভারে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তিলক বর্মা (৩০) ও হার্দিক পান্ডিয়া (৭)। তিলকের ১৯ বলের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ২টি ছয়।

পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে আলো ছড়ান শুধু হারিস রউফ। ২৬ বলে নেন ২টি উইকেট। একটি করে নেন আবরার আহমেদ ও ফাহিম আশরাফ।

এর আগে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে নিজেদের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। টস হেরে ৫ উইকেটে করে ১৭১। তবে শুরুর পর যে গতি ছিল, তাতে এই রান একেবারেই যথেষ্ট মনে হয়নি। শেষ দশ ওভারে তারা করতে পেরেছে মাত্র ৮০ রান, অথচ ইনিংসের অর্ধেক পথে পতন হয় মাত্র এক উইকেটের।

Manual3 Ad Code

একপর্যায়ে টানা ৩৯ বল কোনও বাউন্ডারি আসেনি। সেই ধীরগতিই একসময় জমে ওঠা ইনিংসকে পরিণতি পেতে দেয়নি। আরও হতাশার বিষয়—ভারতের প্রধান স্পিন হুমকি সামলালেও (মধ্য ওভারের শুরুতে তিনটি ছক্কা), পার্ট-টাইম বোলার শিবম দুবের কাছে ধরা খায় তারা।

Manual3 Ad Code

দুবে ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট—দুজনই ছিলেন সেট ব্যাটার; একজন শাহেবজাদা ফারহান, আরেকজন সাইম আইয়ুব। দ্বিতীয় উইকেটে তারা তুলেছিলেন ৭২ রান। ৩৪ বলে ৫১ রানে পৌঁছে যাওয়া ফারহান শেষ পর্যন্ত করেন ৪৫ বলে ৫৮। এটাই দলের সর্বোচ্চ ইনিংস। যাতে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছয়। সাইম ১৭ বলে করেন ২১। শেষদিকে ফাহিম আশরাফের ৮ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ২০* পাকিস্তানকে দেয় ভরসা করার মতো স্কোর। ১৩ বলে অপরাজিত ১৭* রান করে অবদান রাখেন অধিনায়ক সালমান আগাও।

মাঝের ওভারগুলোতে পুরো এশিয়া কাপে ওমান ও আমিরাত ছাড়া সবচেয়ে ধীরগতির দল ছিল পাকিস্তান। এদিন তারা সেই পরিসংখ্যান পাল্টানোর মতো অবস্থায় ছিল। কিন্তু দুবের ব্রেকথ্রু আর বরুণ চক্রবর্তী (৪-০-২৫-০) ও কুলদীপ যাদবের (৪-০-৩১-১) নিখুঁত বোলিং শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে ছাপিয়ে গেছে। হার্দিকও ৩ ওভারে ২৯ রানে নেন একটি উইকেট।

Manual8 Ad Code

 

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code