আজ সোমবার, ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করেছি, ফেব্রুয়ারিতে যার আয়োজন করা হবে : প্রধান উপদেষ্টা

editor
প্রকাশিত আগস্ট ২৫, ২০২৫, ১১:১২ পূর্বাহ্ণ
নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করেছি, ফেব্রুয়ারিতে যার আয়োজন করা হবে : প্রধান উপদেষ্টা

Oplus_16908288

Sharing is caring!

স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করেছি, আগামী ফেব্রুয়ারিতে যার আয়োজন করা হবে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজারে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। এর আগে, সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। আজ সংলাপের দ্বিতীয় দিন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশ এখন স্থিতিশীল, আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত’।
এসময় রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে অবিরত সহযোগিতা দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে স্থায়ী সমাধান ও বৈশ্বিক মঞ্চে সংকটকে তুলে ধরে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করছে সরকার।
রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানে ৭ দফা প্রস্তাবনা ঘোষণা করে ড. ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জাতিগত নির্মূলের ভয়াবহ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন থেকে সশস্ত্র ঘাতকদের থামানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
 ২০১৭ সালে এবং তারও আগে, সম্পদ এবং সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের জীবন বাঁচাতে মানবিক কারণে বাংলাদেশ তাদের সীমান্ত খুলে দিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মিকে নিশ্চিত করতে হবে, যেন আর কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ না করে।’
গতকাল রোববার (২৪ আগস্ট) থেকে উখিয়ার ইনানীর হোটেল বে-ওয়াচ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে ‘স্টেকহোল্ডারস ডায়লগ অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’।
আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এ সংলাপ। উদ্বোধনী দিনে সরকার স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে— বাংলাদেশ আর কোনো রোহিঙ্গাকে দেশে প্রবেশ করতে দেবে না।
প্রায় আট বছর আগে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে এ সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। ১৮ কোটির বেশি মানুষের দেশে এত বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর চাপ সামাল দিতে গিয়ে বাংলাদেশ নতুন সংকটে পড়েছে। এ কারণেই রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন এখন সময়ের দাবি।
প্রথম দিনের আলোচনায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি এবং বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
 মূল আকর্ষণ ছিলেন প্রায় একশ রোহিঙ্গা প্রতিনিধি। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ জোরদারের আহ্বান জানান। মুসলিম দেশগুলোকে বিশেষভাবে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তারা।
সংলাপে বিভিন্ন দেশে থাকা রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেন, সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তরিক। তবে নতুন করে আর কাউকে সীমান্ত পেরিয়ে দেশে ঢুকতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রান্তে সীমান্ত রক্ষায় দায়িত্বে থাকা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে, যেন নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা প্রবেশ করতে না পারে। এরইমধ্যে এটি আমাদের জন্য একটি বড় সংকট।’