আজ শনিবার, ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক এ কে খন্দকার আর নেই

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২০, ২০২৫, ০২:০২ অপরাহ্ণ
মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক এ কে খন্দকার আর নেই

Sharing is caring!


Manual6 Ad Code

অনলাইন ডেস্ক:

মহান মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক, ‘কিলো ফ্লাইট’-এর কমান্ডার এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার, বীর উত্তম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

Manual6 Ad Code

বার্ধক্যজনিত কারণে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৯৬ বছর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কে খন্দকারের মৃত্যুর খবর জানান। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আব্দুল করিম খন্দকার, যিনি এ কে খন্দকার নামেও পরিচিত, ছিলেন একজন প্রকৃত বীর ও সত্যিকারের দেশপ্রেমিক। মুক্তিবাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে তিনি নেতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। যুদ্ধের পর তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং জনজীবনে নানা দায়িত্ব পালন করেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতে সুন্দর একটি স্থান দান করুন।’

Manual7 Ad Code

এ কে খন্দকার ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন প্রখ্যাত সেনানায়ক ও দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রতীক। ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনী থেকে বেরিয়ে ভারতে যোগ দেন এবং মুজিবনগর সরকারের অধীনে মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে প্রশিক্ষণ ও অপারেশনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে তার নেতৃত্বেই গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম বিমান ইউনিট ‘কিলো ফ্লাইট’, যা সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও শত্রুর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করে।

স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এ কে খন্দকার। তিনি বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং বাহিনীকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত হন। ২০১১ সালে তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়। তার নামে ঢাকার কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটির নামকরণ করা হয়েছে।

রাজনৈতিক অঙ্গনেও সক্রিয় ছিলেন এ কে খন্দকার। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পাবনা-২ (বেড়া–সুজানগর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এ কে খন্দকার দুই ছেলে, এক কন্যা ও তিন নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। এর আগে গত ৮ জুন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার সহধর্মিণী ফরিদা খন্দকার ইন্তেকাল করেন।

তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দক্ষ সামরিক নেতা ও প্রাজ্ঞ রাষ্ট্রনায়ককে হারাল।

 

Manual5 Ad Code

 

Manual8 Ad Code

তথ্য সুএঃ ইত্তেফাক

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code