আজ মঙ্গলবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুড়ীর সানাবিল লাইব্রেরীতে সিলেটি নাগরী লিপি উপহার

editor
প্রকাশিত জুলাই ৮, ২০২৫, ০৭:৩৯ অপরাহ্ণ
জুড়ীর সানাবিল লাইব্রেরীতে সিলেটি নাগরী লিপি উপহার

Sharing is caring!

Manual4 Ad Code

সাইফুল ইসলাম সুমন, জুড়ী থেকেঃ

 

Manual2 Ad Code

বাঙালির সংস্কৃতি, সাহিত্যের ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো ও বৈচিত্র্যময়। বাংলা ভাষায় রয়েছে দুটো বর্ণমালা: প্রমিত বাংলা ও অন্যটি সিলেটি নাগরী। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে প্রায় বিরল উদাহরণ। বাংলা ভাষা ছাড়া একই ভাষায় একাধিক বর্ণমালার ঐতিহ্য রয়েছে শুধু স্কটল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে।

Manual4 Ad Code

সিলেটি নাগরী লিপির উদ্ভব আরবি, কাইথি, বাংলা ও দেবনাগরীর অনুসরণে চতুর্দশ শতকে। এ-লিপিতে রচিত হয়েছে শত শত গ্রন্থ, দলিল-দস্তাবেজ এবং পরিচালিত হয়েছে সেকালের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কার্যক্রম।

Manual5 Ad Code

নাগরী লিপির সাহিত্য ধারণ করেছে সিলেটি উপভাষা বা আঞ্চলিক ভাষা। নাগরীসাহিত্যে মূলত ইসলামি নানা কাহিনি বিধৃত হয়েছে; মানবিক প্রেম-প্রণয় উপাখ্যানও প্রাধান্য পেয়েছে। এছাড়াও নবিচরিত, ধর্মের বাণী, রূপকথা, সামাজিক রচনা, সুফিবাদ, ফকিরি গান, বীরগাথা এবং মরমি কাহিনিমূলক পুথি রচিত হয়েছে।

Manual6 Ad Code

প্রায় ছয়শো বছর বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিশেষত সিলেট অঞ্চলে প্রচলিত ছিল এ-লিপির সাহিত্য। তবে, সিলেট ছাড়াও কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, ভৈরব, করিমগঞ্জ, শিলচর ও আসামে এর ব্যবহার ছিল।

নাগরী পুথি-পুস্তক বর্তমানে দুষ্প্রাপ্য। প্রায় ৫০ বছর পূর্বে এসব অমূল্য গ্রন্থ কালের গহ্বরে হারিয়ে গেছে। এটি এখন বিস্মৃত ঐতিহ্যের নাম। বাংলা ভাষার এ-গৌরবগাথা এখন বিলুপ্তপ্রায়। এই হিরন্ময় অধ্যায় পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রকাশিত বিলুপ্ত নাগরী লিপির ২৫টি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের ‘নাগরী গ্রন্থসম্ভার’ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও লাইব্রেরীতে পৌঁছে দিচ্ছেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক শিল্পপতি আলহাজ্ব মোঃ নাসির উদ্দিন আহমদ মিঠু।

 

এরই ধারাবাহিকতায় তিনি মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার সানাবিল লাইব্রেরী এন্ড এডুকেশন সেন্টারে নাগরী লিপির বইগুলো নিজ হাতে উপহার হিসেবে পৌঁছে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জুড়ী উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সানাবিল লাইব্রেরী এন্ড এডুকেশন সেন্টারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা প্রবীণ শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব মোঃ তাজুল ইসলাম (তারা মিয়া স্যার), জুড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সানাবিল লাইব্রেরী এন্ড এডুকেশন সেন্টারের পরিচালক মিস মিলি, সমাজসেবক হাবিবুর রহমান, রেজান আলী, আপ্তাব আলী, মোস্তাকিম হোসেন সহ অনেকেই।

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code