আজ শুক্রবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলা একাডেমি সংস্কারে ফয়জুল লতিফ চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিটি

editor
প্রকাশিত জুলাই ৭, ২০২৫, ০৩:১৯ অপরাহ্ণ
বাংলা একাডেমি সংস্কারে ফয়জুল লতিফ চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিটি

Oplus_16908288

Sharing is caring!

Manual3 Ad Code
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
লেখক, গবেষক ও অনুবাদক ফয়জুল লতিফ চৌধুরীকে সভাপতি এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আজমকে সদস্য সচিব করে বাংলা একাডেমির কার্যক্রমে গুণগত পরিবর্তন ও সংস্কারে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সোমবার ১৯ সদস্যের এ কমিটি গঠন করার তথ্য দিয়েছে।
এর আগে মে মাসে বাংলা একাডেমির সংস্কার বিষয়ে জানাতে দুই দফা সংবাদ সম্মেলন ডেকে স্থগিতের পর এবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় কমিটি গঠনের তথ্য জানায়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—কবি ও প্রাবন্ধিক আবদুল হাই শিকদার, লেখক ও গবেষক সলিমুল্লাহ খান, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টর্সের অধ্যাপক সুমন রহমান, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, কবি ব্রাত্য রাইসু, কবি মোহাম্মদ রোমেল, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ।
এছাড়া আছেন—জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম, অধ্যাপক আ আল মামুন, কবি সাখাওয়াত টিপু, লেখক রিফাত হাসান, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, কবি কাজী জেসিন, কথাসাহিত্যিক আহমাদ মোস্তফা কামাল, লেখক ও অনুবাদক জাভেদ হুসেন, এবং পিআইবি গবেষণা বিশেষজ্ঞ সহুল আহমদ মুন্না।
কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে সব কার্যক্রম শেষ করে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলা একাডেমির কার্যক্রমে সময়োপযোগী গুণগত পরিবর্তন ও সংস্কারের লক্ষ্যে’ এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটি বাংলা একাডেমির আইন, প্রবিধানমালা, কাঠামো, কার্যক্রম পর্যালোচনা করে এর সার্বিক উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সুপারিশ প্রদান করবেন। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এ কমিটিকে সব ধরনের সাচিবিক সহায়তা দেবেন।
এর আগে ২৪ মে সংস্কার ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিল সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেখানে সাংবাদিকদের উপস্থিতি ‘আশানুরূপ না হওয়ায়’ তা স্থগিত করা হয়েছিল। এর দুই দিন আগে ২২ মে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হলেও ‘অনিবার্য’ কারণ দেখিয়ে তা স্থগিত করা হয়েছিল।
ভাষা আন্দোলনের পর বাংলা ভাষার অস্তিত্ব রক্ষা ও বিকাশে বাংলা একাডেমির মত গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা প্রবল হয়ে ওঠে। যুক্তফ্রন্ট সরকার পাকিস্তানের ক্ষমতায় এলে ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠা পায় বাংলা একাডেমি।
১৯৫৭ সালে ৩ এপ্রিল পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদে ‘দি বেঙ্গলি একাডেমী অ্যাক্ট ১৯৫৭’ পাস করে এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পায়।বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ‘বাংলা একাডেমি আইন, ২০১৩’ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে।
Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code