আজ মঙ্গলবার, ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীমঙ্গলের বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করা প্রেমিক যুগল খোঁজতে বাসায় পরিকল্পিত হামলা

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৭:২২ অপরাহ্ণ

Sharing is caring!

Manual2 Ad Code

জাফর ইকবাল মৌলভীবাজার থেকে,

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল আসদ্রোন ইউনিয়ন থেকে পালিয়ে বিয়ে করা প্রেমিক প্রেমিকাকে খোঁজতে গিয়ে রাত ১১ টায় মোকামবাজারে এক মহিলার বাসায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলার ঘটনায় দুই শিশু সহ সাত জন আহত হয়েছে বলে জানাগেছে।

আহতরা হলেন, সালমা বেগম, নাইম মিয়া, রাসেল মিয়া,লিপি বেগম, রাসেল আহমদ, জান্নাত(২), রাহিম মিয়া(৩)।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) মোকামবাজার সালমা বেগমের বাসায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

জানাযায়, শ্রীমঙ্গল চকগাঁও(জমসের বস্তি) ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জুয়েল মিয়া(৩২) পাশের বাড়ির বারিক মিয়ার মেয়ে মিলি বেগম(২১) কে প্রেম করে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে।

Manual7 Ad Code

এব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানায় মেয়ে পক্ষ একটি অভিযোগ করা হয়। শ্রীমঙ্গল থানার এসআই অলক বিহারী ঘটনা স্থলে গিয়ে জুয়েল মিয়ার পরিবারের লোকজনকে বাড়ির বাহিরে না যাওয়ার জন্য বলে আসেন বলে তার পরিবারের অভিযোগ। এঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐ দিন রাতে জুয়েল মিয়ার ঘরে হামলা করে মেয়ের ভাই জাহেদ মিয়া, রুমেল মিয়া, হিমেল মিয়া সহ কযেক জন। এ সময় তার বৃদ্ধ মা মনোরা বেগম(৭০), বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ভাই সোহেল মিয়াকে মারধোর করা হয়।

এদিকে খবর পেয়ে আত্নীয় থাকায় শুক্রবার সালমা বেগম তার খালা বৃদ্ধ মনোরা বেগম(৭০) বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। শনিবার রাতে সালমা বেগম শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা সংক্রান্ত ব্যাপারে গেলে রাত ১১ টায় তার বাসায় মিলি বেগমের মামা শাহজাহান, ভাই সায়মন, জাহেদ, রুমেল, হিমেল সহ ২০/২৫ জন দেশীয় অস্ত্র সহ তার বাসায় ভিকটিম উদ্ধারের কথা বলে হামলা চালায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ৫ জনকে আটক করা হয়। পরে স্থানীয় মেম্বার সাজ্জাদ আহমেদ সহ গন্যমান্য ব্যাক্তির মধ্যস্থতায় তাদেরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Manual6 Ad Code


এব্যাপারে সালমা বেগম বলেন, আমি মামলার বিষয় শ্রীমঙ্গল থানায় গিয়েছিলাম। বাসায় আমার মেয়ে তার ২ বছরের শিশু সন্তান ও আমার মা ছিলেন। এসময় ৩ টি গাড়ীতে করে ২০/২৫ জন লোক আমার বাসায় আক্রমন করে। খবর পেয়ে আমি বাসায় এসে স্থানীয় লোকজন নিয়ে মেয়ের মামা ভাই সহ ৫ জনকে আটক করা হয়। আমি পুলিশকে খবর দিতে চাইলে গিয়াস নগর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সাজ্জাদ আহমেদ মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ এসে পরে বিষটি দেখে দিবেন বলে তাদের মুক্ত করেন। তাদের হামলায় আমাদের শিশুসহ ৭ জন আহত হয়েছেন।

এব্যাপারে ভিকটিমের ভাই জাহেদ বলেন, আমাদের বোনকে জুয়েল মিয়া নিয়ে যায়। আমরা খবর পাই সে মোকামবাজারে একটি বাড়িতে আমার বোনকে নিয়ে অবস্থান করছে। তার খোঁজে চেয়ারম্যানের বাড়িতে যেতে গিয়ে সালমার বাসার সামন দিয়ে যাওয়ার সময় একটি মহিলাকে চেয়ারম্যানের বাড়ি কথা জিজ্ঞাস করতেই তারা চিৎকার দিয়ে আমাদেরে আক্রমন করেন।

Manual1 Ad Code


ইউপি মেম্বার সাজ্জাদ আহমেদ বলেন, জাহেদ তারা ফোনে আমাকে বলে মিলি বেগমকে নিয়ে জুয়েল মিয়া সালমা বেগমের বাসায় আছে। আমি বলি আপনারা পুলিশকে বলে পুলিশ নিয়ে আসেন। পুলিশ ছাড়া রাত ১১ টায় কারো বাসায় যাওয়া যাবেনা। ওদের ফোনের কিছু সময় পর খবর পাই বাসায় ওদের আটক করা হয়েছে । পরে আমি গিয়ে গন্যমান্য ব্যাক্তিসহ তাদের মুক্ত করে নিয়ে আসি।

Manual6 Ad Code

শ্রীমঙ্গল থানার এসআই অলক বিহারী বলেন, মিলি বেগমকে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়। কাগজ পত্রে দেখা যায় ছেলে ও মেয়ে উভয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক। আমরা খোঁজে বের করার চেষ্টায় আছি।

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code