আজ বুধবার, ২২শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে মেলা ও যাত্রার প্যান্ডেল ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ

editor
প্রকাশিত জুন ১৪, ২০২৫, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ণ
বরিশালে মেলা ও যাত্রার প্যান্ডেল ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ

বরিশালে মেলা ও যাত্রার প্যান্ডেল ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ

Sharing is caring!

Manual7 Ad Code
নিজস্ব প্রতিনিধি:
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের খেয়াঘাট এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা মেলা ও যাত্রার প্যান্ডেল ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) রাত ৯টার দিকে প্রায় শতাধিক লোক মেলা ও যাত্রার বিভিন্ন অবকাঠামো ভাঙচুরের পর আগুন দেয়।
স্থানীয়রা জানান, কেদারপুর খেয়াঘাটের অদূরে পহেলা বৈশাখ থেকে মাসব্যাপী বৈশাখী মেলা শুরু হয়। তখনও সেখানে যাত্রা ও পুতুল নাচের নামে অশ্লীল নৃত্য ও রাতভর জুয়ার পরিচালনার অভিযোগ ওঠে।
এর প্রতিবাদে বিক্ষোভের মুখে মেলার অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ হয়। শুধুমাত্র যাত্রা চালানো হতো। যাত্রার আড়ালে রাতভর বিভিন্ন প্রকার জুয়া খেলার অভিযোগ রয়েছে। সেখানে ঈদ আনন্দ মেলা নামে আরেকটি মেলা করার জন্য চলতি মাসের শুরুতে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আবেদন করা হয়। পুতুল নাচসহ মেলার বিভিন্ন প্রকার স্টল নির্মাণও সম্পন্ন হয়।
এরইমধ্যে ‘বরিশাল সোসাইটি’ নামে আরেকটি সংগঠন মেলার অনুমতি না দিতে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাল্টা আবেদন করেন। এনিয়ে কেদারপুর এলাকায় উত্তেজনা চলছিল।
 সবশেষ শুক্রবার রাত ৯টার দিকে দেড় শতাধিক লোক হামলা করে। তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে মেলার জন্য স্থাপন করা কাঠামো ও যাত্রা প্যান্ডেলে ভাঙচুর চালায়। পরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইব্রাহিম বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, বৈশাখী মেলা বন্ধ হওয়ার পর রাতে শুধুমাত্র গানের আয়োজন হতো। শুক্রবার রাতে লোকজন সবকিছু ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে।
মেলা কমিটির সভাপতি বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সিজন সিকদার জানান, আগে বৈশাখী মেলা হয়েছিল। এরপর শুধুমাত্র গানের আয়োজন চলছিল।
 ঈদ আনন্দ মেলার অনুমতি না পাওয়ায় দুইদিন আগে কমিটিই সব বন্ধ করে দিয়েছে। পরে শুক্রবার রাতে কিছু উশৃঙ্খল লোক এসে স্থাপনাগুলো ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে।
বাবুগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল ইসলাম জানান, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।
Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code