আজ সোমবার, ২০শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাগরপুরে কচুরিপানা ফুলে প্রকৃতি মেতেছে নতুন রূপে

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ২৭, ২০২৪, ০৬:২১ অপরাহ্ণ

Sharing is caring!

Manual7 Ad Code
এমএ মান্নান,নাগরপুর (টাঙ্গাইল)সংবাদদাতা:
আবহমান গ্রাম বাংলার সুপরিচিত একটি জলজ উদ্ভিদের নাম “কচুরিপানা”। টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কচুরিপানা ফুলের চাদরে ঢেকে আছে খাল, বিল, পুকুর, ডোবা ও জলাশয়গুলো। এসব স্থানে যেখানেই দৃষ্টি যাচ্ছে চারপাশে শুধু কচুরিপানার ফুল। সবুজের মধ্যে সাদা, হালকা গোলাপি আর বেগুনি রঙের এ ফুলের শুভ্রতায় মুগ্ধ হচ্ছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। অনেকে আবার পরম যত্নে নিজের স্মার্টফোনে তুলছেন ফুলের ছবি। অযত্নে বেড়ে উঠেও যে মুগ্ধতা ছড়ানো যায়, তার এক অনন্য উদাহরণ এই কচুরিপানা ফুল। এটি একটি বহু-বর্ষজীবী ভাসমান জলজ উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Eichhornia crassipes। কচুরিপানা মূলত বেড়ে ওঠে অযত্নে। আবার এই কচুরিপানা ফুলের অপরূপ সৌন্দর্যেই জুড়ায় মানুষের মন। এ ফুলের নান্দনিক রূপ দূর থেকেই ভেসে আসে চোখে। ছোট ছোট বদ্ধ জলাশয়ে ফোটা কচুরিপানা ফুলের সৌন্দর্যে বিমোহিত হন অনেকেই।
স্থানীয়রা বলছেন, খাল, বিল, পুকুর, ডোবাসহ বিভিন্ন বদ্ধ জলাশয়ে এ সময় পানি শুকিয়ে যায়। আর এ অল্প পানিতে ব্যাপকহারে জন্মে কচুরিপানা। এসব  কচুরিপানা এখন ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে। যা দেখতে মনোরম। উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্কুলে যেতে-আসতে স্কুলের পাশে পুকুরে ফুটে থাকা কচুরিপানা ফুল দেখতে পায় তারা। মাঝে মধ্যে কিছু ফুল ছিঁড়ে খেলা করে তারা, আবার বাড়িতেও নিয়ে যায় অনেকেই। কেউ কেউ আবার বন্ধুদেরও উপহার দেয় এ ফুল।
নাগরপুর যদুনাথ প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নাজমা বেগম বলেন, কচুরিপানা নিজ থেকেই জন্মায়। যখন বদ্ধ জলাশয়গুলোতে পানি কম থাকে তখন এতে ফুল ফোটে, যা দেখতে অনেক সুন্দর। এতে মুহূর্তেই আকর্ষিত হয় মানুষ। কম-বেশি অনেকেই এ ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন।
নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন শাকিল বলেন, কচুরিপানা কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সঠিকভাবে কচুরিপানা সংরক্ষণ করে জৈব সার তৈরি করা যায় যা মাটির উর্বরতা জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ঘটায়। এছাড়া শুকনো কচুরিপানা মালচিং হিসেবে বিভিন্ন সবজি ও ফলদ গাছের গোড়ায় ব্যবহার করা যায় এতে জমিতে আগাছা কম হয়, মাটিতে পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং সারের কার্যকারিতা স্বাভাবিক থাকে, উৎপাদন খরচ কমে এবং ফলন বৃদ্ধি পায় । কৃষকরা ভালো ফলন পাওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন। তাই কচুরিপানাকে কাজে লাগানোর জন্য আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে থাকি।
Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code