আজ শনিবার, ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাতগাঁওয়ে চা–শ্রমিকদের মানববন্ধন, দাবি ১৭ মাসের প্রভিডেন্ট ফান্ড পরিশোধের

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ৭, ২০২৫, ০৪:১২ অপরাহ্ণ
সাতগাঁওয়ে চা–শ্রমিকদের মানববন্ধন, দাবি ১৭ মাসের প্রভিডেন্ট ফান্ড পরিশোধের

Sharing is caring!

Manual2 Ad Code
তাপস দাশ, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও ইউনিয়নে তিন চা–বাগানের শ্রমিকরা দীর্ঘ ১৭ মাসের বকেয়া প্রভিডেন্ট ফান্ড আদায়ের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে সাতগাঁও চা–বাগানের দুর্গামন্দিরের সামনে অনুষ্ঠিত হয় প্রায় দুই ঘণ্টার এই কর্মসূচি।
সাতগাঁও, মাকড়িছড়া ও ইছামতী বাগানের শতাধিক শ্রমিক এতে অংশ নেন। তারা ব্যানার, ফেস্টুন হাতে নিয়ে বকেয়া পরিশোধের দাবি জানান। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত নেতৃবৃন্দ কাজল কালিন্দী, সুদীপ কৈরী, কাশী নারায়ণ গড়, বিমল সাঁওতাল, স্বাধীন চাষা, মন্টু কুর্মী, ঈশ্বর কালিন্দী ও শান্তনা বাড়াইকসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।
শ্রমিকরা বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে মালিকপক্ষ নিয়মিত প্রভিডেন্ট ফান্ড জমা দিচ্ছে না। বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এক নারী শ্রমিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা প্রতিদিন পরিশ্রম করি, চা–পাতা তুলি, ঘাম ঝরাই—তবু প্রাপ্যটা পাই না। এটা শুধু টাকার নয়, মর্যাদার প্রশ্ন।”
পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কৈরী জানান, আগেও ৯ মাসের বকেয়া মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। লিখিত অঙ্গীকার থাকা সত্ত্বেও কোনো অর্থ পরিশোধ করা হয়নি। তিনি বলেন, “এই প্রভিডেন্ট ফান্ডই আমাদের ভবিষ্যতের একমাত্র ভরসা। সরকার যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।”
অন্যদিকে, সাতগাঁও চা–বাগানের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম জানান, “আমরা ধাপে ধাপে ফান্ড অফিসে টাকা পাঠাচ্ছি। জানুয়ারির মধ্যে সব পরিশোধের চেষ্টা করছি।”
বাংলাদেশ চা–শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালি সভাপতি বিজয় হাজরা বলেন, “একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও শ্রমিকরা কিছুই পায়নি। তাদের ধৈর্য এখন শেষ সীমায়। দ্রুত সমাধান না হলে আন্দোলনের মাত্রা আরও বাড়বে।”
চা–বাগানের কঠোর পরিশ্রমে টিকে থাকা এই শ্রমিকরা এখন ন্যায্য প্রাপ্যের আশায় দিন গুনছেন। তাদের দাবি, শুধু প্রভিডেন্ট ফান্ড নয়—তাদের শ্রমের মর্যাদাও যেন রাষ্ট্র ও মালিকপক্ষ সম্মান করে।
Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code