Sharing is caring!
উৎফল বড়ুয়া, সিলেট:
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১.০০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলামের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি সমগ্র ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে সিকৃবি জুলাই চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রায়, ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক প্রফেসর ড. নির্মল চন্দ্র রায়, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদার, অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ রুহুল আমিন, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক কৃষিবিদ খসরু মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনসহ বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, প্রভোস্ট, দপ্তর প্রধান, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রা শেষে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ সাখাওয়াত হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম।
এসময় তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া দিবস আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক গভীর তাৎপর্যপূর্ণ দিন। আধুনিকতা, নারীমুক্তি এবং শিক্ষাবিস্তার সম্পর্কে যে সুদীর্ঘ দর্শন তিনি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন, তা আজও রাষ্ট্র ও সমাজের অগ্রগতির অন্যতম ভিত্তি। নারীর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ও সামাজিক অংশগ্রহণ বিষয়ে তাঁর সুদূরপ্রসারী চিন্তা আমাদের শিক্ষানীতি, মানবাধিকার চর্চা এবং সামাজিক উন্নয়ন কাঠামোকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। তাঁর অবদান শুধু সাহিত্যিক গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং সামাজিক রূপান্তর, মানবিক মূল্যবোধ এবং সমতার দিকে একটি ধারাবাহিক আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা জ্ঞান, গবেষণা ও নৈতিকতার সমন্বয়ে নারী শিক্ষার্থী এবং নারী-গবেষকদের জন্য একটি সমতা ভিত্তিক, নিরাপদ ও উদ্ভাবনমুখী পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম আরও বলেন, ছাত্রীদের বেগম রোকেয়ার দর্শন, শিক্ষা, মানবতাবোধ, সমাজ এবং সাংস্কৃতিক চেতনা অনুসরণ ও অনুকরণ করে তাঁর আদর্শকে সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে।