Sharing is caring!

মোহাম্মদ নুরুল আলম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
টানা দুই দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে পানিতে তলিয়ে গেছে সিলেট নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বাসা বাড়ি। এর মধ্যে শনিবার ৩১ মে দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে সিলেট আবহাওয়া অফিস। ঘরে-বাইরে সব জায়গায় জলজটে চরম ভোগান্তিতে দিনাতিপাত করছে নগরবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও প্রতিষ্ঠান জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। তালতলা ভিআইপি রোডে পানির কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া কাজিরবাজার, উপশহর, জিন্দাবাজার, শিবগঞ্জ, মিরাবাজার, সোবহানীঘাট, মেজরটিলা, আম্বরখানা সহ বেশিরভাগ এলাকার রাস্তায় পানির কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আউটডোরে জলাবদ্ধতার কারণে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাঘাত ঘটছে।
বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন নগরবাসী। নগরীর জিন্দাবাজার রাজা ম্যানশনের নিচ তলার প্রায় দোকানেই পানি ঢুকে পড়েছে। সেখানকার একটি লাইব্রেরির সত্ত্বাধিকারী বেলাল আহমেদ জানান, “সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টি হওয়ায় বিকেলের দিকে দোকানে পানি ঢুকতে শুরু করে। বিপুল পরিমাণ বই নিয়ে খুবই বিপদে আছি”।
শিবগঞ্জ সোনারপাড়া এলাকার স্কুল শিক্ষিকা মনোয়ারা জানান, “দুপুর থেকেই বাসার আশেপাশের রাস্তা প্লাবিত হলেও সন্ধ্যার সাথে সাথেই বাসার ভিতরে পানি ঢুকে পড়ে। মূল্যবান জিনিসপত্র রক্ষায় যথাসম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বাচ্চাদের নিয়ে খুবই আতঙ্কে আছি। জানিনা বাকি সময়ে কি হয়”।
গোলাপগঞ্জ থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা নিতে আসা মান্না বলেন, “বহির্বিভাগে রোগী দেখাতে এসে চরম ভোগান্তির স্বীকার হয়েছি। হাসপাতালের আউটডোর পানিতে নিমজ্জিত থাকায় স্বাভাবিক সেবা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সেবাগ্রহীতারা”।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, “টানা বৃষ্টির কারণে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি দ্রুত নামিয়ে দিতে ড্রেনের ছিদ্র বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”