আজ বৃহস্পতিবার, ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াত-শিবিরের হামলায় কৃষক সমাবেশ পণ্ড, ট্রাস্টিসহ আহত ৫

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৫:২৬ অপরাহ্ণ

Sharing is caring!

Manual3 Ad Code

 টাইমস নিউজ

Manual2 Ad Code

 

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কৃষক সমাবেশে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পণ্ড হয়েছে সমাবেশ। হামলায় আহত হয়েছেন লেখক ও গণবুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ট্রাস্টি নাহিদ হাসান, গণঅভ্যুত্থানে শহিদ আবু সাঈদের প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট রায়হান কবিরসহ ৫ জন।

 

শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই বিকাল ৫টার দিকে উপজেলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ইউএনও, ওসি ও সহকারী পুলিশ সুপারের (রৌমারী সার্কেল) অপসারণসহ হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন লেখক ও গণবুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ট্রাস্টি নাহিদ হাসান নলেজ, গণঅভ্যুত্থানে শহিদ আবু সাঈদের প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট রায়হান কবির।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসির উদ্দিন, উপজেলা রাষ্ট্র সংস্কারের আন্দোলনের নেতা মিজানুর রহমান মিনু।

নাহিদ হাসান নলেজ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের আচরণ দেখে মনে হয়েছে তারা আগে আওয়ামী লীগের কথা শুনতেন। এখন জামায়াত-শিবিরের কথা শুনছেন।

Manual1 Ad Code

তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করে বলেন, এখানকার সার্কেল, ইউএনও এবং ওসি আছেন তাদের চরম দায়িত্বহীনতা ছিল। এই তিনজনকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে ও হামলায় নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিও জানান তিনি।

Manual2 Ad Code

এ সময় তিনি আরও বলেন, পুলিশর সামনেই জামায়াত-শিবিরের লোকজন সমাবেশে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। এ সময় আমাকেও আঘাত করা হয়। এছাড়াও মারপিট করে আহত করা হয় গণঅভ্যুত্থানে শহিদ আবু সাঈদের প্রধান আইনজীবী ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির ন্যায়পাল অ্যাডভোকেট রায়হান কবির, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসির উদ্দিন, উপজেলা রাষ্ট্র সংস্কারের আন্দোলনের নেতা মিজানুর রহমান মিনু ও এসএম শাহ মোমেনকে।

রৌমারী উপজেলা জামায়াতের আমির হায়দার আলী বলেন, তাদের কৃষক সমাবেশে কোনো কৃষক ছিল না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেরও কাউকে ডাকা হয়নি। রাষ্ট্রের দায়িত্বে যারা আছেন তাদেরকেও ডাকা হয়নি। এ কারণে প্রশাসন তাদের মঞ্চ ভেঙে দেয়। তারপরও সমাবেশ করতে চাইলে সাধারণ জনতা হামলা চালায়। তাদের মধ্যে জামায়াত শিবিরের দুই-একজন থাকতে পারে বলে জানান।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সেখানে আওয়ামী লীগের দোসররা ইসকনের মতো লোক জমায়েত করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছিল।

সমাবেশে হামলার ঘটনা অস্বীকার করে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, রৌমারীতে কোনো সমাবেশ হয়নি। কোনো হামলার ঘটনাও ঘটেনি। সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল, সেটার বিপক্ষে ছিল জামায়াত-বিএনপি। সমাবেশে যারা উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল, তারা উপস্থিত হননি। এ কারণে সমাবেশও হয়নি।

সমাবেশে হামলার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমাবেশই হয়নি।

Manual2 Ad Code

তিনি পালটা প্রশ্ন করে বলেন, তারা কি সমাবেশের অনুমতি নিয়েছিল?

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code