Sharing is caring!
মো: জাফর ইকবাল:
মৌলভীবাজার ৪ নং কাগাবালা ইউনিয়নে শ্বাশুরীকে কুপিয়ে মারাত্নক আহত করেছে মেয়ের জামাই। মারাত্নক আহত শ্বাশুরী মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার(২৮ নভেম্বর) ৪ নং কাগাবালা ইউনিয়নে সাতভাগ গ্রামে জাবেদ মিয়া, তার ভাই আব্দুল মিয়া,খালেদ মিয়া, দুলাল মিয়া সন্ধ্যা ৭ টায় ঐ গ্রামের সিলু মিয়ার স্ত্রী ভাগ্যবর্তী বেগমকে দা দিয়ে হাতে মাথায় কুপিয়ে মারাত্নক আহত করে।
জানাযায়, ভাগ্যবর্তী বেগম একটি অটো রিক্সা গাড়ী ক্রয় করে তার জামাতা জাবেদ মিয়াকে চালানোর জন্য দেন। জাবেদ মিয়া গত ৩ দিন আগে কৌশলে গাড়ীটি মজিদ মিয়ার নিকট৷ বিক্রি করে দেয়। এ ঘটনায় ভাগ্যবর্তী বেগম কোর্টে মামলা দেন। মামলাটি মৌলভীবাজার মডেল থানায় তদন্তের জন্য আসলে ২৮ নভেম্বর থানার এ এস আই শাহিনুর রহমান মামলা তদন্তে যান। মামলা তদন্ত করে কাগাবালা বাজারে আসার পরপরই জাবেদ মিয়া, তার ভাই আব্দুল মিয়া,খালেদ মিয়া, দুলাল মিয়া সন্ধ্যা ৭ টায় ঐ গ্রামের সিলু মিয়ার স্ত্রী ভাগ্যবতী বেগমকে দা দিয়ে হাতে মাথায় কুপিয়ে মারাত্নক আহত করে। আহত ভাগ্যবতী বেগম মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে মূমূষ্য অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।
ভাগ্যবতী বেগমের ছেলে হিরন মিয়া জানান, প্রায় ১৭ বছর আগে ঐ গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলের সাথে তার বোন নিপা বেগমের বিয়ে হয়। প্রায় সময় তার বোনকে নিপাকে জাবেদ মিয়া যৌতুকের জন্য মারধোর করতো। এ কারনে তার মা একটি অটো রিক্সা কিনে জাবেদকে চালানোর জন্য দেন। কিছু দিন পুর্বে জাবেদ বলে বেড়ায় সে নিপা বেগমকে তালাক দিয়েছে।
এব্যাপারে মৌলভীবাজার নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। যা মৌলভীবাজার মডেল থানায় তদন্তের জন্য আছে। এরপর গোপনে গাড়ী এলাকার মজিদ মিয়ার নিকট বিক্রি করে দেয় জাবেদ। পুলিশ মামলা তদন্ত করে বাজারে আসার সাথে সাথে ভাগ্যবতী বেগমকে ভাইদেরে সাথে নিয়ে কুপিয়ে মারাত্নক আহত করে।
এবিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই শাহিনুর রহমান বলেন, আমি তদন্ত করে কাগাবালা বাজারে আসার পর জাবেদ মিয়া বাড়িতে গিয়ে তার শ্বাশুরীকে কুপিয়েছে। জাবেদ মিয়ার উপর মৌলভীবাজার মডেল থানায় অন্য একটি মামলা তদন্তাধীন আছে।