আজ শনিবার, ১লা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবার আসছে দেশজুড়ে হাড়কাঁপানো শীত

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ৯, ২০২৫, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ

Sharing is caring!

Manual8 Ad Code

টাইমস  নিউজ 

মাঝে কদিন শীতের অনুভূতি কিছুটা কম থাকলেও পৌষের শেষে দেশজুড়ে হাড়কাঁপানো শীত পড়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল। দেখা মেলেনি সূর্যের।

কুয়াশার সঙ্গে ছিল শীতের হিমেল হাওয়া। ফলে শীতের অনুভূতি কিছুটা বেড়েছে। আজ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

এছাড়া জানুয়ারিতে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে একাধিক শৈত্যপ্রবাহের আভাস আছে। অধিদপ্তর বলছে, চলতি মাসে মৃদু থেকে মাঝারি পর্যায়ের শৈত্যপ্রবাহ থাকবে একটি থেকে তিনটি। এছাড়া একটি থেকে দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে দেশজুড়ে।

Manual8 Ad Code

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে ইতোমধ্যেই কমতে শুরু করেছে ঢাকার তাপমাত্রা। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা বাড়তেও দেখা গেছে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে বুধবার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাগুলোতেও তাপমাত্রা খুব একটা কমতে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারপরও জেলাগুলোতে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ১৪ জানুয়ারির মধ্যে দেশজুড়ে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার একটি শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে। তবে সেটি বেশিদিন স্থায়ী হবে না। খুব স্বল্প সময়ের জন্য থাকতে পারে। আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমে আসবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর কয়েকদিন পর জানুয়ারির শেষ ১০ দিনে আরও এক থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। ওই সময় রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, যশোর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া এবং চুয়াডাঙ্গায় শীত বেশি অনুভূত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

Manual1 Ad Code

আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান বুধবার বলেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে এলে আমরা তাকে শৈত্যপ্রবাহ বলি। কিন্তু বর্তমানে দেশের কোথাও শৈত্যপ্রবাহ নেই। তারপরও মানুষের মধ্যে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। মেঘ ও কুয়াশা থাকার কারণে দিনের তাপমাত্রা অনেক কমে এসেছে। ফলে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমেছে।

Manual1 Ad Code

ফের শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। বিশেষ করে ভোর থেকে রাত অবধি ঘরের বাইরে কাজ করতে হয় এমন শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ। হাঁড়কাপানো শীতে তারা তাদের দৈনন্দিন কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। শীতে কাবু হয়ে পড়েছে শিশু ও বয়স্কসহ নানা বয়সি মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল এবং অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহণ ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা।

Manual7 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code