শরৎচন্দ্র ছিলেন সাধারণ মানুষের জীবনের সাহসী কথক। তাঁর লেখায় গ্রামীণ জীবনের সুখ-দুঃখ, মানবিক মূল্যবোধ, নারী-পুরুষের সমঅধিকার ও সমাজ সংস্কারের আহ্বান উঠে এসেছে। বর্তমান সময়েও শরৎচন্দ্রের সাহিত্য সমান প্রাসঙ্গিক।
অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১৪৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও কেমুসাসের ১২৪৮তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে আলোচনাকালে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরও বলেন, শরৎচন্দ্রের রচনায় সমাজের দর্পণ প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি ছিলেন নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর দরগাহ গেইটস্থ ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে সংসদের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রভাষক-ছড়াকার কামরুল আলমের সভাপতিত্বে এবং ছড়াকার আব্দুস সামাদের সঞ্চালনায় আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলজার আহমদ হেলাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেমুসাসের সহ-পাঠাগার সম্পাদক কবি ইশরাক জাহান জেলী। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তরুণ কবি ইউসুফ আল আজাদ।
সাহিত্য আসরের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হুসাইন হামিদ। আসরে লেখা পাঠে অংশ নেন ও উপস্থিত ছিলেন জুবের আহমদ সার্জন, মোহাম্মদ দিদার আহমদ, কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল, আব্দুল মুমিন, কামাল আহমদ, মাহফুজ জোহা, আতাউর রহমান বঙ্গী, মোহা. লিলু মিয়া, আদিল আনোয়ার, মকসুদ আহমদ লাল প্রমুখ । আসরে সেরালেখক মনোনীত হন কবি কামাল আহমদ।