Sharing is caring!
স্বপন কুমার সিং, হবিগঞ্জ :
হবিগঞ্জের উত্তর বড়চর গ্রামে স্বর্গীয় ডা. কামিনী দাসের বাড়ির মাঠে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম নামযজ্ঞের ৮ম বর্ষ মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভক্তিই বল, নামই সম্বল—এই বিশ্বাসকে ধারণ করে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সকল জীবের শান্তি কামনায় চার দিনব্যাপী এই ধর্মীয় আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। মহোৎসবটি শুরু হয় শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) এবং শেষ হয় মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর)।
উদ্বোধনী দিনে শ্রী শ্রীমদ্ভগবদগীতা ও শ্রী শ্রী ভাগবত কথা আলোচনা পাঠ করেন বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রমথ সরকার, সভাপতি, বাংলাদেশ শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য সেবা সংঘ (কেন্দ্রীয় কমিটি)। ওইদিন রাত ১০টায় শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম নামযজ্ঞের শুভ অধিবাস অনুষ্ঠিত হয়। অধিবাস পর্বে পরিবেশনায় অংশ নেন রতন চন্দ্র দেব ও জয়মা তাঁরা সংঘ, মিরপুর, বাহুবল।
রবিবার ১৪ ডিসেম্বর এবং সোমবার ১৫ ডিসেম্বর—এই দুই দিন ১৬ প্রহরব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিন দুপুর ১২টায় মহাপ্রভুর ভোগরাগ অর্পণ এবং ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। নামসংকীর্তনে অংশগ্রহণকারী ভক্তদের কণ্ঠে কণ্ঠে ধ্বনিত হয় হরিনাম, যা পুরো এলাকা জুড়ে সৃষ্টি করে ভক্তিময় পরিবেশ।
মহোৎসবের শেষ দিন মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর, অরুণোদয়ে নগর পরিক্রমা অনুষ্ঠিত হয়। পরে দধি ভাণ্ড অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম নামযজ্ঞের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
এই মহোৎসবে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত একাধিক ধর্মীয় সম্প্রদায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—শ্রী নিমাই গৌর সম্প্রদায় (সিলেট), শ্রী কৃষ্ণ সারথি সম্প্রদায় (নেত্রকোনা), শ্রী গৌর বিষ্ণুপ্রিয়া সম্প্রদায় (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), শ্রী ভোলানাথ সম্প্রদায় (সিলেট), শ্রী গীতাঞ্জলি সম্প্রদায় (হবিগঞ্জ) এবং শ্রী রামকৃষ্ণ সম্প্রদায় (ভোলা)।
নামযজ্ঞ মহোৎসব বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেন মহোৎসব কমিটির সভাপতি ডা. প্রেমময় দত্ত, সাধারণ সম্পাদক মুকুল দাশ, কোষাধ্যক্ষ উত্তম কুমার দত্ত এবং মুক্তিযোদ্ধা সুনীল দেবরায়সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। আয়োজকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও ধর্মীয় শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়।