তিন সেন্টিমিটার মগজের পাবলিক এই কথা খুব খায়। খুব প্রচার করে।
সত্যিটা চোখের সামনে থাকলেও মিথ্যাকেই আঁকড়ে ধরে থাকে।
একটু মনে করিয়ে দিই।
খালেদা জিয়ার আমলে বিবিয়ানা এবং টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্র থেকে ভারতে গ্যাস রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। সেই সময়কার জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রির পক্ষে ওকালতি করছিলেন। তাকে টিভিতে লাইভ প্রোগ্রামে রামধোলাই দিয়েছিলেন আনু মুহাম্মদ। তারপরেও আন্দোলনে নামতে হয়েছিল গ্যাস বিক্রি বন্ধের দাবিতে। সেই আন্দোলন সফল হয়েছিল। আন্দোলন করেছিল বামপন্থীরা।
Manual7 Ad Code
টাটার অসম বিনিয়োগ প্রস্তাবে সায় ছিল সেই সময়ের শিল্পমন্ত্রী জামায়াত নেতা নিজামীর। বিরুদ্ধে আন্দোলন করে সেই অসম বিনিয়োগ ঠেকিয়েছিল বামপন্থীরা।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে এবং সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করেছে শুধু বামপন্থীরাই।
আদানির সাথে জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে হাসিনা সরকার যেসব বিদ্যুৎ চুক্তি করেছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে তখন এবং এখনো সোচ্চার শুধু বামপন্থীরাই।
এগুলোই হচ্ছে জাতীয় স্বার্থ। ভারতের বিরুদ্ধে জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় আন্দোলন করেছে কেবল এই দেশের বামপন্থীরাই। ইসলামি রাজনীতি করা কোনো দলের বিন্দুমাত্র ভূমিকা নেই এইসব আন্দোলনে। আন্দোলন করেনি বিএনপি-আওয়ামী লীগ, জামায়াত-শিবির।
Manual4 Ad Code
ভারতের বিরুদ্ধে জাতীয় স্বার্থরক্ষায় আন্দোলন করেছে, এবং করে যাচ্ছে শুধু বামপন্থীরাই। এরপরেও যারা মিথ্যা অপবাদ দেয় বামপন্থীদের, তাদের মুখে ঝামা ঘষে দিন।