আজ মঙ্গলবার, ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জঙ্গী সন্ত্রাসীদের তান্ডবে দেশ সংস্কৃতি আজ আক্রান্ত

editor
প্রকাশিত মার্চ ২০, ২০২৫, ০৫:২৬ অপরাহ্ণ
জঙ্গী সন্ত্রাসীদের তান্ডবে দেশ সংস্কৃতি আজ আক্রান্ত

Sharing is caring!

Manual4 Ad Code

রোকেয়া প্রাচী

Manual5 Ad Code

প্রযোজক সেলিম খান এবং তার ছেলে অভিনেতা শান্ত খানের কথা আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে । এই পিতা-পুত্রকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছিল এদেশেরই একদল উগ্র জঙ্গি সন্ত্রাসীরা।
৫ আগস্ট ২০২৪। একটি সুন্দর অগ্রসরমান ও সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে সেদিন জবরদখল করে নিয়েছিল ১৯৭১- এর পরাজিত শক্তি। জামায়াত-শিবির, ইসলামী মৌলবাদী জঙ্গী গোষ্ঠী। দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করে, মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে দেশের মানুষকে বিষিয়ে তুলেছিল দেশের একটি গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে। তথাকথিত কোটা আন্দোলনের নামে দেশের ছাত্র সমাজকে দিকভ্রান্ত করে, বিদেশী অর্থায়ন ও ষড়যন্ত্রে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী, দখলবাজরা মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলে। এক পর্যায়ে সামরিক হস্তক্ষেপে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
তার পরের চিত্র পুরো দেশ তথা বিশ্ববাসী দেখেছে। দেশজুড়ে শুরু হয় চরম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, খুন, ধর্ষণ, জ্বালাও পোড়াও। যেন একাত্তরের সেই দিনগুলো ফিরে আসে বাংলার সামনে। দেশ বিরোধী এই সন্ত্রাসী, জঙ্গি গোষ্ঠী শত শত মানুষকে হত্যা করে নির্বিচারে, নির্মমভাবে। হত্যার শিকার বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থক,সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর লোক।
এই জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতেই চাঁদপুরে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন প্রযোজক সেলিম খান এবং তার অভিনেতা পুত্র শান্ত খান। মব তৈরি করে তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় ।
এই পিতা-পুত্রকে হত্যা করা হয়েছে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে “টুঙ্গিপাড়ার মিঞাভাই “ ছবি নির্মাণ করার অপরাধে। সে কথা উঠে এসেছে বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন লেখা, আর্টিকেল ও খবরে।
অথচ আমাদের দেশের গণমাধ্যম সেলিম খান ও তার পুত্র শান্ত খানকে উপস্থাপন করেছে ভিন্নভাবে। প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে। যা খুবই দুঃখজনক।

Manual6 Ad Code

সেলিম খান কেমন ব্যাবসায়ী সেটা অন্য আলাপ । ১০০ সিনেমার পরিচালক কলা কুশলীরা কাজ করেছিলেন তাঁর সাথে। কিন্তু টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই – নির্মাণের কারণে তাঁর এবং সন্তানের হত্যার বিষয়ে সবাই চুপ ! তাদের হত্যার বিষয়ে কথা বলতে হবে, বিচার চাইতে হবে। এখনই আওয়াজ তুলতে হবে।
এফডিসি এবং মিডিয়ার লোকজন জঙ্গী, সন্ত্রাসীদের ভয়ে এখনো ভীত। এই ভয়ের অবসান হোক, প্রতিরোধ শুরু হোক সব জায়গা থেকে।
এই জঙ্গী সন্ত্রাসীদের তান্ডবে দেশ সংস্কৃতি আজ আক্রান্ত। ১৯৭১ এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সিনেমা বানানো কোনো অপরাধ হতে পারেনা। যদি এটা অপরাধ হয় তাহলে মনে রাখবেন আপনি, আমি কেউ বাদ যাচ্ছি না এই দখলদার জঙ্গি, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাত থেকে। আজ না হয় কাল বা পরশু আমাদেরকে তাদের ছুরির নিচে পরতে হবে।
জুলাইতে যারা তাদের কথিত সংস্কারের সাথে ছিলেন, তাদেরকেও এখন আক্রান্ত হতে দেখছি। দেশ যখন এই জঙ্গি সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি, তখন কেউ নিরাপদ থাকবেন, সেটা ভাবার কোনো কারণ নেই। এটা ভাবলে আপনি, আপনারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।
আপনাদেরকে বুঝতে হবে প্রতারকরা দেশের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দেশ ধংসের চক্রান্তে তারা লিপ্ত। স্বাধীনতা ও দেশ বিরোধী এই অশুভ শক্তির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। তাই প্রতিরোধ করা আজ দেশের,দশের জন্য প্রয়োজন। দায়িত্ব আমাদের সকলের।

রোকেয়া প্রাচী: জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী

Manual6 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code