আজ সোমবার, ১৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ-সিলেট অঞ্চল এর উদ্যোগে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ৬, ২০২৫, ০৪:৩৭ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ-সিলেট অঞ্চল এর উদ্যোগে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

Sharing is caring!

Manual6 Ad Code
উৎফল বড়ুয়া, সিলেট:
বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ সিলেট অঞ্চল এর পক্ষ থেকে মৈত্রীময় শুভেচ্ছা। পূজনীয় ভিক্ষুসংঘের তিনমাস ব্যাপি বর্ষাবাস ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অষ্টশীল পালনের সমাপ্তিতে শরৎ ঋতুর মনোরম পরিবেশে বরণ ও বারণ-এ ব্রত নিয়ে সিলেটে  পালিত হলো শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা।
এ উপলক্ষে সোমবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ-সিলেট অঞ্চল’র উদ্যেগে নগরীর লামাবাজারস্থ মিয়া ভবনে দিনব্যাপী প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন ও ধর্মদেশনা অনুষ্ঠানে সুদূর চট্টগ্রামের রাউজান থেকে আগত অংকুরঘোনা মহাশ্মশান ভাবনা কেন্দ্রের আবাসিক প্রধান ভদন্ত কুলবংশ ভিক্ষু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন ভদন্ত ধর্মলংকার ভিক্ষু আবাসিক,গহিরা মহাশ্মশান ভাবনা কেন্দ্র, রাউজান, চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ সিলেট অঞ্চল এর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা তপন কান্তি বড়ুয়া মান্না,অধ্যক্ষ বরন কুমার চৌধুরী, সভাপতি লিটন বড়ুয়া, সিনিয়র সহ সভাপতি তপতী বড়ুয়া, অংশু মারমা, সাধারণ সম্পাদক দিলু বড়ুয়া, অর্থ সম্পাদক সেবু বড়ুয়া,রত্না বড়ুয়া,টুম্পা বড়ুয়া,শেলু বড়ুয়া,সেতু বড়ুয়া,দীপান্বিতা বড়ুয়া জয়ী প্রমুখ। সঞ্চালনায় সদস্য অয়ন বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রবারণার শিক্ষা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—নিজেকে সৎভাবে বিচার করা, অন্যকে ক্ষমা করা এবং মিলেমিশে শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলা। আজকের বিশ্ব বাস্তবতায় আমরা দেখি রাজনৈতিক অস্থিরতা, ধর্মীয় বিভাজন, পরিবেশ বিপর্যয় এবং সামাজিক অবক্ষয়। ব্যক্তিস্বার্থের কারণে ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতা ক্রমশ কমে আসছে। এ প্রেক্ষাপটে প্রবারণার শিক্ষা সমকালীন সমাজের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এ শিক্ষা আমাদের আহ্বান জানায়- বিরোধ ভুলে গিয়ে সত্যকে ধারণ করতে, অহিংসার পথে অটল থাকতে, ক্ষমার মাধ্যমে নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলতে। এমন একটি মানসিকতা শুধু ভিক্ষু-সংঘের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; প্রতিটি মানুষ, প্রতিটি পরিবার এবং সমগ্র জাতির জন্যও সমান জরুরি। যদি আমরা প্রবারণার শিক্ষা হৃদয়ে ধারণ করি, তবে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক কিংবা ধর্মীয় মতভেদ- সবকিছুরই সমাধান সম্ভব শান্তি ও সংলাপের মাধ্যমে।
শেষে প্রয়াত অর্চনা চৌধুরীর সহ পরলোকগত সকল জ্ঞাতিগণের উদ্দেশ্যে পূণ্যদান, দেশের সমৃদ্ধি ও বিশ্ব শান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনা ও সন্ধ্যায় বুদ্ধ কীর্তন পরিবেশ মঙ্গল প্রদীপ জ্বালানোর মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠান শেষ হয়।
Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code