আজ বুধবার, ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আখাইলকুড়ায় অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলা

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫, ০৮:০৪ অপরাহ্ণ
আখাইলকুড়ায় অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলা

Sharing is caring!

Manual2 Ad Code

মো: জাফর ইকবাল মৌলভীবাজারঃ

Manual3 Ad Code

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৫ নং আখাইলকুড়া ইউনিয়নের জুমুনিয়া গ্রামে আওয়ামীলীগের নেতা কর্তৃক অবসব প্রাপ্ত সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার নিয়ে পাশ্ববর্তী গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করেও রেহাই পাচ্ছেননা। বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। মৌলভীবাজার মডেল থানায় জিডি ও আদালতে নিরাপত্তার জন্য ৩০৭ ধারায় অভিযোগ করায় আকিকুল ইসলাম গং আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে।

বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার নিয়ে পাশ্ববর্তী গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করেও রেহাই পাচ্ছেননা। বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে তারা।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ০৩/৩৪৯ নং অভিযোগে জানা যায়, আখাইলকুড়া ইউনিয়নের সম্পাশী গ্রামে সেনা সদস্য কাওসার আহমেদ অবসরে এসে ৫ বছর পুর্বে জুমুনিয়া গ্রামে ৫ শতক জায়গা কিনে বাড়ি তৈরি করেন। জীবিকা নির্বাহের জন্য রাফি ভেরাইটিজ ষ্টোর খুলে ব্যবসা করছেন। বাড়ি তৈরির পর থেকে পাশ্ববর্তী বাড়ির আকিকুল ইসলাম ভিন্ন ভাবে তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য পায়তারা করে চলছে। গত ২২ অক্টোবর সন্ধ্যার পর আকিকুল ইসলাম, মোসেন মিয়া, মসুদ মিয়া, লিটন মিয়া, সহিদ মিয়া, সাগর মিয়া, ময়না মিয়া পরিকল্পিত ভাবে প্রানে মারার উদ্দেশ্যে বাড়িতে আক্রমন করে। বাধা দিতে গিয়ে শাহানা বেগম(৪০), নুরুল মিযা(৩০), নুরুল হক(৩০) মারাত্নক ভাবে আহত হন। এসময় আকিকুল ইসলাম অবৈধ ভাবে একটি ইয়ারগান অস্ত্র দিয়ে আক্রসন করে।

সেনা সদস্য কাওছার আহমেদের স্ত্রী বলেন, স্বামী অবসর নেওয়ার পর জমুনিয়া গ্রামে ৫ শতক জমি ক্রয় করে বাড়ি করে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ট্রান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। এরপর থেকে আকিকুল ইসলাম তার লোক নিয়ে আমাকে উচ্ছেদের জন্য নানা পায়তারা করে চলছেন। প্রতি শুক্রবার সকল মানুষ নামাজে চলে গেলে সে এসে আমাকে কুপ্রস্তাব দিতো। আমি দরজা জানালালা বন্ধ করে ভয়ে ঘরে বসে থাকি। এব্যাপারে অনেক সালিশ বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তারা প্রভাবশালী হওয়ায় কোন সুরাহা হয়নি।

Manual5 Ad Code

অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য কাউসার আহমদ বলেন, আমি দেশের জন্য জীবন বাজী রেখেছি। অবসরে এসে শান্তিতে বাকী জীবন কাটাতে ৫ শতক জমি ক্রয় করে বাড়ি করে ছিলাম। রাফি ভেরাইটিজ ষ্টোর নামে একটি দোকান করে ব্যবসা করি। ২২ নভেম্বর পুর্ব শত্রুতার জের ধরে আকিকুল ইসলামের নেতৃত্বে কিছু ব্যক্তি আমাকে উচ্ছেদের জন্য বাড়ি ঘরে হামলা ও মারধোর করছে। এসময় আমার দোকান লোটপাট করে নিয়ে যায়। আমি আত্নরক্ষার্থে ৯৯৯ ফোন দিলে পরের দিন মৌলভীবাজার মডেল থানার এস আই আশরাফ হোসেন এসে তদন্ত করে যান। আমার প্রতিপক্ষের মামলা থানায় রেকর্ড করে। কিন্ত আমার মামলা রেকর্ড করেনি।ৃৃৃৃৃঙ
এলাকার আজাদ মাষ্টার বলেন, কাউসার আহমদের বিষয় নিয়ে আমরা শালিস করার চেষ্টা করেছি। কিন্তি উভয় পক্ষের কিছু শর্তের কারনে বিচার শালিসে বসা হয়নি। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে মামলা হয়েছে।

Manual6 Ad Code

এব্যাপারে আকিকুল ইসলাম বলেন, কাউসার আহমদের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন ঝামেলা নেই। কাউসার আহমদের ঝামেলা মোসেন মিয়ার সাথে। তার পুকুরে কাউসার আহমদের হাঁস গিয়ে পানি নষ্ট করে ফেলে। এই বিষয় নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়। সন্ধ্যার পর উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। আমি ঔই সময় ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করি। মোসেন হোসেন আমার বাড়িতে কাজ করে। এই কারনে আমাকে কাউসার আহমদ মামলার ১ নং আসামী করেছে।

এব্যাপারে মৌলভীবাজার মডেল থানার এস আই মো: আশরাফুল আলম চৌধুরী বলেন, শাহানা বেগম ও আকিকুল ইসলামের পারিবারিক বিষয় নিয়ে মরামারির ঘটনা ঘটেছে। কিছু আসামী জামিনে আছেন। আর কিছু আসামী পালাতক আছেন। মামলাটি তদন্তাধীন আছে।

Manual2 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code