আজ রবিবার, ২৫শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে সাবেক জাপা নেত্রীর মনোনয়ন বাণিজ্য ও ডাকাতি মামলা

editor
প্রকাশিত মে ২৪, ২০২৫, ০১:৫২ অপরাহ্ণ
জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে সাবেক জাপা নেত্রীর মনোনয়ন বাণিজ্য ও ডাকাতি মামলা

Oplus_16908288

Sharing is caring!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মনোনয়ন বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের, জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
শনিবার (২৪ মে) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এ মামলা করেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী নাজমিন সুলতানা তুলি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি পরবর্তী আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- জাপার অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম, জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদের, উত্তরা গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক ডিসি আকরাম, গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের সাবেক এডিসি নাজমুল, বিমানবন্দর জোনাল টিমের এসআই পবিত্র সরকার এবং ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির সদস্য মো. সাঈদুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘জি এম কাদেরের প্রত্যক্ষ মদদে অন্য আসামিরা ২০২৪ সালের ‌ডামি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যে লিপ্ত হন এবং বাদীকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে মেসেজ পাঠান।
 এ নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিংয়ে বাদী প্রতিবাদ করলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং এতে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বৃদ্ধি পায়। পরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক কর্মকর্তার সহযোগিতায় ও অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জন লোক নিয়ে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটায় বাদীর বাসার দরজা ভেঙে প্রবেশ করে আসবাবপত্র, ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, মোবাইল, ল্যাপটপসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
 বাদী এসব নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিলে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে মামলার বাদী নাজমিন সুলতানা গণমাধ্যমকে তুলি বলেন, ‘নরসিংদী-৪ আসন থেকে আমি জাপার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলাম। জিএম কাদের আমার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন।
আমি না দিলে মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করেন এবং দলীয়ভাবে অপদস্ত করে। তাকে সহযোগিতা করেন ডিবি হারুনসহ প্রশাসনের অন্যান্যরা।
আওয়ামী সরকারের পতন হলেও এখনও তারা বিভিন্নভাবে শক্তি সঞ্চয়ের চেষ্টায় লিপ্ত। আমি দীর্ঘদিন ট্রমায় ভুগেছি এবং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্নের শিকার হয়েছি। যারা রাজনীতিকে কলুষিত করেছেন, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’