আজ রবিবার, ২৬শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পশ্চিমবঙ্গের বিধাসভায় ৬টি আসনেই ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৩:০৯ অপরাহ্ণ

Sharing is caring!

Manual4 Ad Code

টাইমস নিউজ 

Manual5 Ad Code

পশ্চিমবঙ্গের বিধাসভা উপনির্বাচনে ৬টি আসনের সবগুলোতেই ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। অন্যদিকে ব্যাপক ব্যবধানে জয় পেয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর দল তৃণমূল কংগ্রেস।

আরজি কর কাণ্ডের পরে মমতার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের হলেও সুবিধা করতে পারেনি বিজেপি। আবার অনেকে বলছেন, এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হলো যে, বাম ও কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে এখন দুর্বল শক্তি।

এবারের বিধানসভা নির্বাচনের পরে বিজেপি মাদারিহাটের আসনটি ধরে রাখতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। ফল ঘোষণার পর দেখা রাজ্যের একটিমাত্র আসনও খোয়া গেছে বিজেপির। ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো আলিপুরদুয়ারের এ বিধানসভা আসনে জয়লাভ করল তৃণমূল।

এদিকে একমাত্র হাড়োয়া আসনে বাম সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী পিয়ারুল ইসলাম দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। এই একটি আসনেই জামানত রক্ষা করতে পেরেছে বাম জোট। বাকি পাঁচ আসনেই জামানত হারিয়েছেন বামপন্থি প্রার্থীরা। অন্যদিকে পৃথকভাবে লড়ে ছয়টি আসনেই জামানত হারিয়েছে কংগ্রেস।

Manual5 Ad Code

আরজি কর নিয়ে নাগরিক আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ত ছিলেন বাম নেতা-কর্মী-সমর্থক। কিন্তু কোনো ফায়দা উঠাতে পারেননি তারা। বিজেপিও আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তৃণমূলকে সমালোচিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। এমনকি তারা ‘দফা এক দাবি এক, মমতার পদত্যাগ’ স্লোগানও দিয়েছিল। কিন্তু তাদের পরিকল্পনাও কোনো কাজে আসেনি।

এদিকে উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা শুরু করেন। সবুজ আবির খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিচিত ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে শোন যায় তাদের।

তৃণমূল কংগ্রেসপ্রধান মমতা ব্যানার্জী দলীয় প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মানুষই আমাদের ভরসা। আমরা সবাই সাধারণ মানুষ। এটাই আমাদের পরিচয়। আমরা জমিদার নই, মানুষের পাহারাদার। আপনাদের আশিস আজীবন হৃদয় স্পর্শ করে থাকবে। জয় বাংলা।

এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অর্থাৎ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, চিন্তার কোনো কারণ নেই। ২০২৬ সালের নির্বাচনে আমরা সব আসন উদ্ধার করবো। উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটের কারচুপির ফলাফল এটা।

Manual4 Ad Code

বাম ও বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের দাবি, নির্বাচনী রাজনীতিতে তৃণমূলের গণভিত্তি অনেক গভীরে ছড়ানো। সংগঠনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক বাস্তুতন্ত্র তৈরি করে ফেলেছে মমতার দল।

প্রবীণ এক সিপিএম নেতা বলেছেন, সরকারি বিভিন্ন ভাতা ছাড়াও তৃণমূলের সঙ্গে থাকার সুবাদে প্রতিটি এলাকার বহু মানুষ পেট চালাচ্ছেন। তারা যে সবাই দুর্নীতিতে রয়েছেন, তা নয়। কিন্তু তাদের রুটি-রুজি হলো তৃণমূল। এই অংশই তৃণমূলকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে। সামাজিক ভাতার যে প্রভাব প্রতিটি ভোটে পড়ছে, তা মানছেন বিজেপি নেতারাও।

Manual2 Ad Code

 

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code