আজ রবিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরাম ইউকে‘র স্মারকলিপি প্রদান

editor
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫, ০৯:৩১ অপরাহ্ণ
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরাম ইউকে‘র স্মারকলিপি প্রদান

Sharing is caring!


Manual5 Ad Code

শহিদুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি:

Manual7 Ad Code

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ঐতিহাসিক স্থাপনা ধানমণ্ডির ৩২ নাম্বার বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ভেঙে ফেলা এবং মুক্তিযুদ্ধ সহ দেশের ঐতিহাসিক দলিলপত্র আগুনে পুড়িয়ে দেয়া, সংখ্যালঘুসম্প্রদায়, সাংবাদিক, এবং স্যাকুলারিজমে বিশ্বাসীদের টার্গেট করে দেশব্যাপী বাড়ীঘর ব্যবসা প্রতিষ্টনে হামলা, এবং হাজার হাজার নীরিহ মানুষকে আসামী করে মামলা, ডেভিলহ্যান্ট নামে অপারেশনের নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের আটক ও জুলুম বন্ধের দাবী জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারক লিপি দিয়েছে বঙ্গবন্ধু লেখক-সাংবাদিক ফোরাম ইউকে।

১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ শনিবার লন্ডন সময় দুপুর ১ ঘটিকায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে এ স্মারকলিপিটি প্রদান করেন সংগঠনের সভাপতি আবুল কাদির চৌধুরী মুরাদ, সাধারণ সম্পাদক শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, সিকদার মোহাম্মদ কিটন, ইয়াসমীন সুলতানা পলিন ও তাহেরা জিনিয়া। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্মারকলিপিটি গ্রহন করেন ডাউনিংষ্ট্রীটের একজন কর্মকর্তা।

Manual8 Ad Code

 

Manual7 Ad Code

স্মারকলিপিতে ব্রিটিশ সরকারে হস্তক্ষেপ কামনা করে বলা হয় ধ্বংসের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালির ইতিহাস মুছে ফেলতেই ষড়যন্ত্র করে পুরো স্থাপনাটিই ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।সেই সাথে গণমানুষের কণ্ঠরোধে সাংবাদিকদের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে। স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয় সরকারের মদদপুষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতারা ঘোষনা দিয়ে এই হামলা চালায়। তাদের সাথে ৩২নং সহ দেশব্যাপী হামলায় অংশ নেয় উগ্রবাদীরা।

Manual4 Ad Code

দেশব্যাপী টার্গেট করে হামলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করে। গত ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ সাল থেকে, সহিংসতা দেশ জুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষেরে বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি, ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ সহ ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য এই সাইটটি অপরিসীম ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে।এটা গভীরভাবে উদ্বেগজনক যে সরকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন ছিল কিন্তু হামলার আগে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে।সহিংসতার নেতৃত্বে, স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট ডিসক্রিমিনেশন (এসএডি) নেতারা ধানমন্ডি ৩২ এর ঐতিহাসিক বাড়িটি ভেঙে ফেলার প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন।ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিলেন যে শেখ হাসিনার বক্তৃতা হামলায় উসকানি দিয়েছে।

এই বিবৃতি শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে আরও সহিংসতা, ধ্বংস এবং লুটপাটকে উসকে দিয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সহিংসতাকে “অস্বাভাবিক” বলে অভিহিত করেছে এবং এসব হামলা প্রতিরোধে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করেছে। গুরুতর উদ্বেগের কারন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুলিকে শৃঙ্খলা রক্ষার আড়ালে অপরাধীদের সুরক্ষা এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন না করে জনগণ ও দেশের স্বার্থে কাজ করার জোরালো দাবি জানানো হয়।

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code