আজ সোমবার, ৩রা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সমাবেশে হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবি জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ৪, ২০২৫, ০৭:১৯ অপরাহ্ণ
সমাবেশে হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবি জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের

Sharing is caring!

Manual2 Ad Code

টাইমস নিউজ

কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে হামলাকারীদের ভিডিও দেখে চিহ্নিত করে গ্রেফতার দাবি করেছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।

Manual8 Ad Code

শনিবার সন্ধ্যায় এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন নবগঠিত দলটির রাজনৈতিক প্রধান আনিসুর রহমান ও সাংগঠনিক প্রধান মো. শফিউর রহমান।

Manual6 Ad Code

বিবৃতিতে বলা হয়, বেলা ২টায় জুলাইয়ের শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমাবেশের আয়োজন করেছিল। বিকাল ৪টায় সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান বক্তৃতা করেন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন ব্যক্তি তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। হামলাকারীরা সমাবেশে চেয়ার ভাঙচুর ও ছোড়াছুড়ি করলে জুলাইয়ের অনেক শহিদদের নারী সদস্য ও শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

এসময় তাদের রক্ষা করতে গিয়ে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও জুলাইয়ে রাজধানী উত্তরায় আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী রাবেয়া আক্তার হামলার শিকার হন।

এদিকে হামলাকারীদের নিবৃত্ত করতে ও ফারুককে রক্ষা করতে গেলে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইয়েদ কুতুব, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম ও এস.এম রাফসানযানি, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম সাকিব, সলিমউল্লাহ ও হিযবুল্লাহ আহত হয়েছেন।

 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদ নেতা ফারুক হাসান ও বিপ্লবী পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে লাইভ সম্প্রচারিত হয়েছে৷ এতে হামলাকারীদের সবার চেহারা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।

Manual1 Ad Code

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় জানান, হামলাকারীদের পরিচয় জানতে বিপ্লবী পরিষদের অনুসন্ধান শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত হামলাকারীদের মধ্যে শরীফ ও হিল্লোল নামে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা রাজধানীর শ্যামলী থেকে সমাবেশস্থলে আসে বলে জানা গেছে৷

Manual5 Ad Code

বিবৃতি জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নেতৃদ্বয় উল্লেখ করেছেন, শহিদ পরিবারের সদস্য ও নাগরিক সমাবেশের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের থেকে বিধিগতভাবে অনুমতি গ্রহণ করে নিরাপত্তার আবেদন জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু হামলার সময়ে শহিদ মিনারে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও এগিয়ে আসেনি।

তারা আরও বলেন, সদ্য গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানকে হামলা করে বানচাল করে দেওয়ার পরেও এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বিস্ময়কর বক্তব্য দিয়েছেন। যেখানে ভিডিও দেখে পুলিশ সহজেই হামলাকারী ও আক্রান্তদের পরিচয় ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বের করতে পারবে, সেখানে তিনি জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের বিরুদ্ধে ভুল বক্তব্য দিয়েছেন৷ জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ ও গণঅধিকার পরিষদ একই সঙ্গে আক্রান্ত হওয়ায় উভয় সংগঠন মিলে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে সোচ্চার হতে বিবৃতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code