আজ শনিবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাঙ্গলবন্দে মহাঅষ্টমী স্নানোৎসবে লাখো পুণ্যার্থীর ঢল

editor
প্রকাশিত এপ্রিল ৫, ২০২৫, ০৪:১৪ অপরাহ্ণ
লাঙ্গলবন্দে মহাঅষ্টমী স্নানোৎসবে লাখো পুণ্যার্থীর ঢল

Sharing is caring!

Manual4 Ad Code

টাইমস নিউজ 

Manual8 Ad Code

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী স্নানোৎসবে লাখো পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে। শনিবার (৪ এপ্রিল) দিনব্যাপী লাঙ্গলবন্দ এলাকার ২০টি ঘাটে একযোগে স্নানোৎসব পালিত হয়েছে। এতে দেশ-বিদেশের লাখো পুণ্যার্থী অংশ নেন।

জানা গেছে, শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টা ৮ মিনিট থেকে শুরু হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী স্নানোৎসব। শেষ হবে শনিবার (৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ৫১ মিনিটে। মন্ত্র পাঠ করে ফুল, বেলপাতা, ধান, দূর্বা, হরিতকি, ডাব, আম্রপল্লব নিয়ে পুণ্যার্থীরা স্নানে অংশ নেন।

Manual8 Ad Code

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই লাঙ্গলবন্দের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পুণ্যার্থীদের ঢল নামে । পাপমোচনের বাসনায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পুণ্যার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এলাকাজুড়ে মেলায় নানা দোকান বসেছে। দুপুরে স্নানোৎসব পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টরা পুরো এলাকা দফায় দফায় পরিদর্শন করেছেন।

সোনারগাঁয়ে মোগড়াপাড়া এলাকা থেকে মায়ের সঙ্গে স্নানোৎসবে এসেছেন পপিরানী দাস। তিনি বলেন, ‘স্নান উৎসবে ধর্মীয় রীতি মেনে স্নান করলে পাপমোচন হয়। এই উদ্দেশ্যে আমরা স্নান করেছি। স্নান শেষে জপ করেছি। পুরো মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে ঘুরে দেখছি।’

বন্দরের ঋষিপাড়া এলাকা থেকে স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন সজীব চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, ‘সকালে স্ত্রীকে নিয়ে স্নানোৎসবে এসেছি। স্নান শেষ করে মেলায় ঘুরে ঘুরে দেখছি। কিছু পছন্দ হলে বাড়ির অন্য আত্মীয়দের জন্য কিনে নিয়ে যাবো।’

Manual4 Ad Code

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিখন বলেন, ‘পাপমোচনের উদ্দেশ্যে শত বছর ধরে স্নান উৎসব চলে আসছে। যুগ যুগ ধরে আমরা এই উৎসব পালন করে যাচ্ছি। প্রতি বছরের মতো এ বছরও দেশ ও বিদেশের লাখ লাখ পুণ্যার্থী লাঙ্গলবন্দ স্নানে এসেছেন। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান রেডটাইমসকে বলেন, ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য দুটি ড্রোন, মেটাল ডিটেক্টর রয়েছে। পুলিশ ও নৌ-পুলিশ মিলিয়ে রয়েছেন প্রায় ১৫০০ জন, কোস্টগার্ড টিম, ফায়ার সার্ভিসের দুটি ডুবুরি দল, বিআইডব্লিউটিএ’র একটি ডুবুটি দল, র‌্যাব, সেনাবাহিনীর টিম ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন। সাদা পোশাকের পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন। ৬০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ৭টি ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে। ৪৭১ জন আনসার সদস্যসহ স্বেচ্ছাসেবক টিম রয়েছে।’

Manual4 Ad Code

তিনি আরও বলেন, ‘স্নান উৎসবকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি খাবারের জন্য সেবা ক্যাম্প, সুপেয় পানি, চিকিৎসা ক্যাম্প, টয়লেটসহ সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নানা বিষয়ে নজরদারি করছেন। আশা করি, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উৎসব সম্পন্ন হবে।’

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে লাঙ্গলবন্দের স্নান উৎসব। সুন্দরভাবে উৎসব পালিত হচ্ছে। বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের দেড় হাজার পুলিশ এখানে কাজ করছে। এর পাশাপাশি নৌপুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, কোস্ট গার্ড, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও র‌্যাব কাজ করছে।’

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code