Sharing is caring!
দোয়েল, বাঘা,রাজশাহী, প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাঘায় বাঘায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গনঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার(২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মনসুর আলীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন,সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবিহা আক্তার ডলি, বাঘা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফখরুল হাসান বাবলু,উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন,উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল্লাহ আল মামুন ( নুহু) ,সাবেক আমীর জিন্নাত আলী, শাহদৌলা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ ফ ম হাসান আলী, সাংবাদিক আবদুল লতিফ মিক্রা,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আহত রনি আহম্মেদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পক্ষের সজিব আহম্মেদ,প্রমূখ।
স্মৃতিচারণ বক্তব্যে আহত রনি আহমেদ বলেন, গত ১৯ জুলাই মাগরিবের আজান হবে এমন মুহূর্তে ড্রোন এসে দেখে যায় কোন কোন ব্লকে লোকজন আছে। আন্দোলনকারীরা রাস্তা ব্লক করে প্রধান সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে যান। ওপরে হেলিকপ্টার চক্কর দিয়ে গুলি ছুঁড়ছে। পুলিশ-বিজিবি সোসাইটির মধ্যে ঢুকে অ্যাভিনিউ রোডে গুলি করা শুরু করল। নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য দূরে গেলেন রনি। সামনে ৪-৫ জন ছিল, গুলি লেগে তারা পড়ে গেলেন। তাদের লাশ নেওয়ার জন্য গুলি করতে করতে ধাওয়া করল পুলিশ। ‘বিজিবির ছোড়া গুলি বাঁ পায়ের উরু ভেদ করে বের হয়ে যায়। অনেক রক্তপাত হচ্ছিল। ভাবলাম আর বাঁচব না, কলেমা পড়া শুরু করলাম।
পরে বনশ্রীর এফ ব্লকের ৩ নম্বর রোডে আশ্রয় নেন । সেখান থেকে জি ব্লকের ৩ নম্বর রোডের একটি বাসায় নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এক চিকিৎসক। পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দেখেন বহু মানুষ গুলিবিদ্ধ। সিট নেই, মেঝেতে চিকিৎসা চলছে। পরে বনশ্রীর ভাড়া বাসায় চলে যান তিনি। সেখান থেকে গোপনে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ২৬ জুলাই চিকিৎসক বললেন, ‘এখানে আইসেন না, তুলে নিয়ে যাবে।’এরপরে ঢাকা থেকে গ্রামে ফিরলেও ভয়ে বাড়িতে ছিলেন না রনি। পাশের উপজেলায় বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়লে নিজ বাড়িতে ফেরেন রনি। ১০ আগস্ট থেকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা.আশাদুজ্জামান আসাদ, আহত রনি আহম্মেদের বাবা এলাহি বক্স ওরফে আফাং,কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান, বাঘা পৌর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম,রহমতুল্লাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল ইসলাম-সহ উপজেলার বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ্র।