আজ শুক্রবার, ২০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিলেটে ভোর থেকেই ভারী বৃষ্টি; স্থবির জনজীবন

editor
প্রকাশিত মে ২০, ২০২৫, ০৪:১৭ অপরাহ্ণ
সিলেটে ভোর থেকেই ভারী বৃষ্টি; স্থবির জনজীবন

Sharing is caring!

নুরুল আলম আলমাস, স্টাফ রিপোর্টারঃ

সিলেটে ভোর থেকেই ভারী বৃষ্টি; স্থবির জনজীবন।আজ মঙ্গলবার(২০ মে) ভোর থেকেই সিলেটে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দিনভর থেমে থেমে চলা এ বৃষ্টির কারণে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, আজ ভোর ৬ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত ১৮৪ মি.মি. বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, জেলায় আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ও রাস্তা ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির প্রভাবে অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল সীমিত। অফিস- আদালত যথারীতি চালু থাকলেও সেবাপ্রত্যাশীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম লক্ষ্য করা গেছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের না হলেও কর্মজীবী ও স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের যথেষ্ট ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় গণপরিবহন কম থাকায় দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে বৃষ্টির কারণে যাত্রী সংকটে ভুগতে দেখা গেছে রাইড শেয়ারিং করা মোটরসাইকেল চালকদের। নগরীর শিবগঞ্জ লাজ্জাত রেস্টুরেন্টের সামনে মোটরসাইকেল রেখে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রাফসান নামের এক রাইডার জানান, সকাল থেকে একজন যাত্রীও জোটেনি। বৃষ্টির কারণে কেউ মোটরসাইকেলে যেতে চায় না। যাত্রী না পাওয়ার অনুযোগ আরেক রাইডার মুন্নার। তিনিও জানান, বৃষ্টির কারণে আয় রোজগার পুরোই বন্ধ।
নগরীর নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন সড়ক ও বাসা বাড়ির সামনে সাময়িক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রায়নগরের বাসিন্দা শামীম রশিদ জানান, সকালে অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে দেখি সামনের রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পানিও বাড়ছিল। বৃষ্টি হলেই এই ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। মেজরটিলার বাসিন্দা আদনান তায়্যিব জানান, ভোর থেকে চলমান বৃষ্টির ফলে প্রধান সড়কেও পানি জমেছে। এতে চলাচলে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
দোকানপাট খোলা থাকলেও ক্রেতা সংকটে ভোগছেন বিক্রেতারা। সোবহানীঘাট সহ আরও কয়েকটি সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের উপস্থিতি কম হওয়ায় অধিকাংশ বিক্রেতারা অলস সময় পার করছেন। টিলাগড় বাজারের সবজি বিক্রেতা রেজওয়ান বলেন, সকাল থেকেই বৃষ্টি পড়ছে, তাই ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই কম। তবে বৃষ্টি বন্ধ হলে ক্রেতা বাড়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, সিলেটের নদ–নদীর পানি কিছুটা বাড়লেও কোনো নদীর পানি এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।