আজ শনিবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানি

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৭:০৭ অপরাহ্ণ

Sharing is caring!

Manual4 Ad Code

টাইমস নিউজ 

Manual6 Ad Code

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই সংশোধনী সংবিধানের ভিত্তির সঙ্গে পরিপূর্ণ সাংঘর্ষিক। এর ফলে বাংলাদেশকে নিয়ে যারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে লেখালেখি করেন, সবাই বাংলাদেশকে কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিতে জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এসব যুক্তি তুলে ধরেন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও এদিন শুনানিতে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবিধানের তুলনা করে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের আরজি জানান।

Manual4 Ad Code

শুনানিতে শিশির মনির বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে নির্বাচন পদ্ধতিটাকে ধ্বংস করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের যে প্রক্রিয়া, সেই প্রক্রিয়াকে ইচ্ছে করে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া এমন একপর্যায়ে চলে গেছে যেখানে নির্বাচন আর নির্বাচন থাকেনি সেটি নিষ্পেষণে পরিণত হয়েছে।

Manual3 Ad Code

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন করেছি কিন্তু সেখানে বিচার বিভাগের কাছে কোনো প্রতিকার পাইনি। কারণ, বাংলাদেশের সংবিধান একটি গণতানি্ত্রক রাজনৈতিক সিস্টেমের কথা বলে। এটা কোনো কর্তৃত্বপরায়ণ সরকারের কথা বলে না। এজন্য এই পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া উচিত। দু-একটি বিধান রেখে বাকি সবই কর্তৃত্বপরায়ণ সরকার ব্যবস্থাকে স্থায়ী করেছে। এগুলো সংবিধানের অংশ হওয়া উচিত নয়।

Manual4 Ad Code

শিশির মনির আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের সংবিধানে এসেছিল, সব রাজনৈতিক দল, কৃষক, শ্রমিক, জনতা, ছাত্র সবার মতামতের ভিত্তিতে। এরশাদ সরকারের পতনের পর প্রথম বাংলাদেশে এ ব্যবস্থা চালু হয়। এরপর সংবিধানের সংশোধনী আনা হয়। সেখানে সব কথা বলা আছে। যে সংশোধনী মতৈক্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে তা কেন ধ্বংস করা হলো। এটিকে ধ্বংস করা সংবিধানকে ধ্বংস করার শামিল।

শুনানি শেষে এক প্রশ্নের জবাবে শিশির মনির বলেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাকস্বাধীনতাকে খর্ব করে। এজন্য ৭০ অনুচ্ছেদ আমরা বাতিল চেয়েছি। তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী গণতনে্ত্র বিশ্বাসী। জনগণ যাকে ভোট দেবে তিনি সরকার গঠন করবেন। এটা নির্ধারণ করবে জনগণ। পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি জামায়াতে ইসলামী করতে চায়।

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশষ্টি ব্যক্তি রিট করেন। অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। এরপর এ রুলের ওপর মতামত দিতে বিএনপি, জামায়াত, গণফোরাম ও আইনজীবী মোস্তফা আসগর শরিফী প্রমুখ যুক্ত হন।

 

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code