Sharing is caring!

টাইমস নিউজ
প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও সাবেক সচিব ইনাম আহমেদ চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার বিকালে ঢাকার বনানীতে নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
ইনাম আহমেদ চৌধুরীর ছেলে নাদিম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তার বাবা সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বনানীর বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দাফনের বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, তার বোন ও স্বজনরা বিদেশে রয়েছেন। তাদের দেশে ফেরার পর ৬ ফেব্রুয়ারি জানাজা ও দাফন হবে।
তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি সি এ কয়েস সামী ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার চৌধুরী । তারা বলেন, সিভিল সার্ভিসের কীর্তিমান সদস্য সাবেক সচিব( CSP,1960 batch) বিশ্ব ব্যাংক ও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের বিকল্প গভর্নর, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী বৃহত্তর সিলেটের কৃতি সন্তান ইনাম আহমেদ চৌধুরী(১৯৩৭-২০২৫) আজ বিকেলে ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিওন)। বহুমুখি প্রতিভার অধিকারী দেশপ্রেমিক এই নাগরিকের তিরোধানে মুক্ত চিন্তার জগতে এক গভীর শুন্যতা তৈরি হলো যা সহসা পূরণ হওয়ার নয়।
ইনাম আহমেদ চৌধুরী ১৯৩৭ সালে সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার বারকুট গ্রামের এক আলোকিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী ও চাচা সফিক উদ্দিন চৌধুরী ছিলেন আসাম সিভিল সার্ভিসের কীর্তিমান সদস্য। বগুড়া,পাবনা ও যশোর জেলার জেলা প্রশাসক ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী পূর্ব পাকিস্তান সরকারের সচিব পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
ইনাম আহমেদ চৌধুরীর অগ্রজ খ্যাতিমান কূটনীতিক সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক চৌধুরী, তাঁর অনুজ মাসুম আহমদ চৌধুরী সাবেক রাষ্ট্রদূত ছিলেন এবং তাঁর কনিষ্ঠ ভাই ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ছিলেন। তাঁর ভগ্নিপতি ফখরুদ্দিন আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন। তাঁর আরেক ভগ্নিপতি কর্নেল সৈয়দ আবদুল হাই ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শাহাদাত বরণ করেন।
ছাত্রজীবনে ইনাম আহমদ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন।
অবসরে যাওয়ার পর তিনি ১৯৯৯ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পান তিনি। পরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছিল তাকে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগমুহূর্তে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বিএনপি ছেড়ে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। পরে তাকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করা হয়।