আজ শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটকে বন্যা থেকে রক্ষা করতে কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্ট্রগ্রাম সড়ক সংস্কার করা হবে: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৩:৫১ অপরাহ্ণ
সিলেটকে বন্যা থেকে রক্ষা করতে কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্ট্রগ্রাম সড়ক সংস্কার করা হবে: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

Sharing is caring!

উৎফল বড়ুয়া, সিলেট
মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সিলেটকে বন্যা থেকে রক্ষা ও পানির অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতে প্রয়োজনে কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্ট্রগ্রাম সড়ক সংস্কার করা হবে। প্রয়োজনে বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হবে। এজন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে সিলেট নগ‌রের সু‌বিদবাজা‌রে খান প‌্যা‌লে‌সে আয়োজিত এক কর্মশালায় তি‌নি এ কথা বলেন।
সিলেট মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘হাওরে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় স্টেকহোল্ডার্স কনসাল্টেশন ওয়ার্কশপ’ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, নির্বিচারে হাওর ভরাট হচ্ছে। আধুনিকতার নামে হাওরে অপরিকল্পিতভাবে বাধ ও রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাওর ও মৎস্যসম্পদ। ফলে পানিপ্রবাহ ব্যাহত হয়েছে।
তি‌নি বলেন, হাওরের মাছ প্রকৃতির দান। প্রকৃতির বিরুদ্ধাচারণ করে মাছের প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট সময় না দিয়ে মানুষ ভোক্তা ও আহরণকারী হিসেবে অত্যন্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে।
ওয়ার্কশপে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, হাওরে মাছের গতিপথে অপরিকল্পিত বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণের ফলে মাছের বিচরণ ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরে দেশীয় প্রজাতিগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে।
যারা মাছ ধরছেন তাদের ভূমিকা অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পেশায় যারা নিয়োজিত তাদের প্রতি অনেক অন্যায় করা হয়েছে। যারা সত্যিকারের মৎস্যজীবী তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। এতদিন জলমহাল যাদের কাছে ইজারা দেওয়া হয়েছে, তারা অতি মুনাফার লোভে মাছের ক্ষতি করেছে।
এজন্য প্রকৃত মৎস্যজীবীদের স্বার্থ সংরক্ষণে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষা করা অত্যন্ত দরকার।
উপদেষ্টা আরো বলেন, মাছ ধরা পেশাকে আধুনিকায়ন করতে হবে, যাতে তারা সম্মানের সাথে বাঁচতে পারেন। মাছের প্রজননকালীন মাছ ধরতে নিষিদ্ধের বিষয়ে হাওর অঞ্চলে বিলবোর্ড ও রেডিও-টেলিভিশনে এ সংক্রান্ত প্রচারণা চালানো যেতে পারে উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, এসময়ে হাওর অঞ্চলে মাছ ধরার নিষিদ্ধের পাশাপাশি পর্যটনও সমন্বয় করা যেতে পারে।
স্টেকহোল্ডারস কনসাল্টেশন ওয়ার্কশপে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান।
এতে হাওরবেষ্টিত সাতটি জেলার জেলা প্রশাসক, তাদের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এবং অংশীজনেরা অংশগ্রহণ করেন।